নয়াদিল্লি, ৩ জুন (হি.স) : ফাভিপিরাভির কাণ্ডে দিল্লি হাইকোর্টে বেকায়দায় পড়লেন বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর। বৃহস্পতিবার দিল্লি ড্রাগ কন্ট্রোল আদালতকে জানিয়েছে, করোনার ড্রাগ ফাভিপিরাভির সংগ্রহ এবং সংরক্ষণে গম্ভীর ফাউন্ডেশন বেআইনি পথ অবলম্বন করেছে। কোনওরকম অনুমতিপত্র ছাড়াই সেই ড্রাগ স্টক করে সরবারহ করেছে গম্ভীর ফাউন্ডেশন।
এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছিল, করোনার ওষুধ, অক্সিজেন, ইঞ্জেকশন রাজনীতিবিদরা স্টক করতে পারবেন না। তারপর দিল্লি ড্রাগ কন্ট্রোলের এই অভিযোগে স্পষ্টতই বেকায়দায় প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে, ‘গম্ভীরের সংস্থার করোনা ড্রাগ কেনা এবং স্টক করার কোনও বৈধ লাইসেন্স নেই।’
সূত্রের খবর, টিকা তৈরির আগে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের অনুমতি চেয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে আবেদনপত্র পাঠিয়েছে আদর পুনাওয়াল্লার সংস্থা সেরাম। বর্তমানে রাশিয়ার গামালেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনটি ভারতে তৈরি করছে ডক্টর রেড্ডিজ ল্যাবরেটরি।
কোভিশিল্ডের পাশাপাশি নোভোভ্যাক্স ভ্যাকসিন উত্পাদন করছে পুনের এই সংস্থা। তবে এখনও এই টিকা ব্যবহারেরভ ছাড়পত্র মেলেনি। তবে জুন থেকে প্রতিমাসে ১০ কোটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে সেরাম। আগামী দিনে কোভিশিল্ডের উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়বে বলেই জানান হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আগস্ট থেকে ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে রাশিতার ভ্যাকসিন। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ৬ ভারতীয় সংস্থা এই ভ্যাকসিন উত্পাদন করতে পারবে বলেই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে ভারতে প্রায় ৩০ লক্ষ স্পুটনিক ভ্যাকসিনের ডোজ ভারতে এসেছে।
2021-06-03