নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জুন৷৷ রাজ্যে খাদ্য সামগ্রীর কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব৷ বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী৷ রাজ্যে খাদ্য সামগ্রীর পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব৷ বুধবার মহাকরণে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী৷
করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের খাদ্য মজুদ সন্তোষজনক৷ খাদ্য সামগ্রী ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য জনগণকে আতঙ্কিত না হতে আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব৷ বুধবার মহাকরণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খাদ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব জানান রাজ্যে খাদ্যদ্রব্যের মজুদ সন্তোষজনক রয়েছে৷ বর্তমানে রাজ্যের চালের মজুদ রয়েছে একশ কুড়ি দিনের, আটা রয়েছে ৩৯ দিনের, লবণ রয়েছে ২৫ দিনের, চিনি রয়েছে ৪৫ দিনের, মসুর ডালের মজুতরয়েছে একদিনের৷ পেট্রোল মজুত রয়েছে ১১ দিনের, সাত দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে, কেরোসিন মজুত রয়েছে ১০ দিনের৷
খাদ্য মন্ত্রী জানান ,রাজ্য সরকার রাজ্যের সাত লক্ষ বিপিএল, অন্তোদয় ,ও প্রায়োরিটিগ্রুপের পরিবারকে মাথাপিছু ১০ কেজি করে চাল, ২ কেজি করে মসুর ডাল, ৩ কেজি করে আলু ,দু কেজি করে পেঁয়াজ এবং ২ কেজি করে লবণ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে৷ এছাড়া প্রত্যেক পরিবারকে এক হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে৷ খাদ্যমন্ত্রী আরো জানান বাজার বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে নিয়মিত নজরদারি বজায় রাখা হচ্ছে৷ সরিষার তেল ছাড়া সমস্ত জিনিসপত্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ তিনি জানান উৎস স্থলে মূল্যবৃদ্ধির ফলে সরিষার তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়নি৷ তিনি জানান প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্যাম্প এর মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী বন্টনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে৷ রেশন শপ এর মাধ্যমে মসুর ডাল সরবরাহ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হলে খাদ্যমন্ত্রী জানান যে সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল তারা বর্তমানে মসুর ডাল দিতে চাইছে না৷ গত ৭ দিন আগে নতুন করে টেন্ডার ডাকা হয়েছে৷ আগামী মাস দেড়েকের মধ্যে ন্যায্য মূল্যের দোকান এর মাধ্যমে মসুর ডাল সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন খাদ্যমন্ত্রী৷ তবে এক্ষেত্রে এপিএল ভুক্ত পরিবারগুলিকে ভর্তুকিতে মসুর ডাল দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন৷