নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ মে৷৷ সাতসকালে সোনামুড়া মহকুমার মেলাঘর মোটর স্ট্যােন্ডে এক দোকান থেকে উদ্বার হল এক মৃত ব্যক্তির লাশ৷ নাম রতি মোহনদাস (৩০)৷ জানা যায় ,মেলাঘর মোটর স্ট্যান্ডে দুলাল মিয়ার দোকান বিটের একটি পরিত্যক্ত দোকান থেকে মেলাঘর থানার পুলিশ উদ্ধার করে এই মৃত ব্যক্তিকে৷জানা য়ায়, উনার বাড়ি মেলাঘরের কেমতলী বৈদ্যমুড়ায়৷ যদিও মৃত ব্যক্তির বাড়ি মেলাঘর কেমতলী বৈদ্যমুড়ায় তবে তিনি থাকতেন মেলাঘর মোটর স্ট্যান্ড এবং মোটর স্ট্যান্ডের আশপাশে৷ তিনি ছিলেন দিনমজুর৷যখন যে কাজ পেতেন তখন সেখানে সেই কাজ করতেন৷ নির্দিষ্ট কোনো কাজ ছিল না রতি মোহন দাসের৷
জানা যায় মৃত ব্যক্তি রতি মোহন দাস এর স্ত্রী এবং ছেলে থাকলেও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ নেই দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত৷এমনটাই বললেন রতি মোহন দাস এর স্ত্রী মঞ্জু দাস৷অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, গত কয়েকদিন মেলাঘরের হোটেলগুলি করোণা কারফিউ এর কারনে বন্ধ থাকার ফলে গত দুই তিন দিন ধরে নাকি ভাত খায়নি৷ তবে মৃত ব্যক্তি রতি মোহন দাস অতিরিক্ত নেশা করতেন৷৷ অতিরিক্ত নেশার ফলে স্ট্রোক করে মারা গেছে এমনটাই দাবি করেন স্থানীয়রা৷ শেষ পর্যন্ত মেলাঘর থানার পুলিশ মৃত ব্যক্তি মেলাঘর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়৷এখন দেখার বিষয় ময়নাতদন্তের পর কি বেরিয়ে আসে৷
শনিবার সাত সকালে এক অজ্ঞাত মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ ঘটনাস্থলে ছুটে যান বীরগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক সহ থানার ওসি৷ ঘটনাটি ঘটে অমরপুর মোটর স্ট্যান্ড এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে৷ এলাকাবাসীর অভিমত ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল৷ বেশ কয়েকদিন ধরে গোটা অমরপুর রাস্তায় দেখা গিয়েছিল মৃত মহিলাকে৷ মহিলার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি৷ শনিবার সকালে এই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে৷ পরে বীরগঞ্জ থানার পুলিশ মৃত মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়৷ মহিলার শরীরে কোন ধরনের আঘাতের চিহ্ণ না থাকায় ধারণা করা হচ্ছে পেটের ক্ষিধা বা করোণা আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে এমনটাই ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল৷