নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ২৯ মে৷৷ অবশেষে কদমতলার নতুন বাজারের জুয়েলারি দোকানের চুরি যাওয়া লকার চার দিনের মাথায় উদ্ধার হলেও লকারে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী পাওয়া যায়নি৷সাথে উদ্ধার চোর চক্রের একটি পালসার বাইক৷লকার সহ বাইকটি চুরাইবাড়ি থানাধীন শনিছড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করে কদমতলা থানার পুলিশ৷কদমতলা থানার তদন্ত অব্যাহত৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, বর্তমানে করোনা সংক্রমণ রোধে গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে নৈশ্যকালীন কার্ফু৷রাজ্যের জনগণ এই নৈশকালীন কার্ফু যাতে সঠিকভাবে পালন করে তার জন্য পুলিশ প্রশাসন যথেষ্টভাবে সক্রিয় রয়েছে৷ কিন্তু ইদানিংকালে কার্ফু চলাকালীন সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাতের আধারে নিশিকুটুম্বদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে৷ রাতের আধারে গৃহস্থের ঘর
তো কখনো ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান আবার কখনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চোরের থাবা৷ তেমনি গত ২৫ মে মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন নতুন বাজারের শ্রীগুরু জুয়েলারি দোকানে দুঃসাহসিক চুরি কান্ড সংঘটিত হয়৷ সকালেই বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে স্থানীয়রা দোকান মালিক ও কদমতলা থানায় খবর দেন৷
দোকান মালিক ও পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন৷ দোকান মালিক সুমিত দেব জানান, উনার জুয়েলারি দোকানে থাকা লকারটি চোরের দল নিয়ে গেছে৷লকারের ভিতরে থাকা লক্ষাধিক টাকা সহ বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সামগ্রী মজুদ ছিল৷সাথে কদমতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি চুরির মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে দেয়৷ অবশেষে চুরি যাওয়ার চারদিনের মাথায় আজ সন্ধ্যেবেলা কদমতলা থানার পুলিশ চুরাইবাড়ি থানাধীন শনিছড়া এলাকা থেকে চুরি যাওয়া লকারটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়৷কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, লকারটি কেটে ভিতরে থাকা নগদ অর্থ,স্বর্ণালংকার ও গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী নিয়ে যায় চোরের দল৷লকারের সাথে এই ছুড়ি কাণ্ডে জড়িত চোর চক্রের কালো রঙের একটি পালসার বাইক উদ্ধার করে কদমতলা থানার পুলিশ৷
এদিকে কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার জানান, পুলিশ খুব শীগ্রই চুরি যাওয়া নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করবে ও এই চোর চক্রটিকেও জালে তুলতে সক্ষম হবে৷ অপরদিকে জুয়েলারি দোকানের মালিক সুমিত দেব জানান, পুলিশ প্রশাসনের উপর উনার পুরো আস্তা রয়েছে৷ পুলিশ উনার দোকান থেকে চুরি যাওয়া নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার উনার হাতে ফিরিয়ে দেবে বলে উনি আশাবাদী৷