কলকাতা, ১৯ মে (হি. স.) : জামিন হল না নারদকান্ডে ধৃত চার নেতার। আপাতত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁদের। এদিন প্রায় আড়াই ঘন্টা কলকাতা হাইকোর্টে চলে সওয়াল জবাব পর্ব।
বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযুক্ত ফিরহাদ হাকিমের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে প্রশ্ন করেন, সিবিআই অফিসের ঘটনাটিকে প্রশাসককের নজর দিয়ে দেখা উচিত নয় কি? মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই দফতরে। আইনমন্ত্রী সিবিআই আদালতে। তাহলে বিচার হবে কোথায়? রাস্তায়?
মামলা কাল পর্যন্ত গড়াতে পারে— এ নিয়ে দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাদানুবাদ চলে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ৫ মিনিটের বিরতি নেন প্রধান বিচারপতি। সেই বিরতি শেষে ফের শুরু হয় শুনানি। মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে লোক রাস্তায় নেমেই প্রতিবাদ করে। আইনকে নিজের পথেই চলতে দেওয়া উচিত।
অভিষেকবাবু বলেন, আইনমন্ত্রী নিম্ন আদালতে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিনি বিধায়ক। সেখানে এই ঘটনাকে অস্বাভাবিক ভাবে দেখব কেন? অনেক বিধায়ক তো এমনও বলছেন, আমাদের সতীর্থদের ধরে নিয়ে যাওয়া হল কারণ হারটা ঠিক হজম হয়নি।
প্রশ্নোত্তরে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, কোনও নেতারই বিচার ব্যবস্থাকে বাধা দেওয়া উচিত নয়।
অভিষেকবাবুকে বিচারপতি প্রশ্ন: আপনার মতে একজন নেতার কর্তব্য কি? অনুগামীদের প্ররোচিত করা? অভিষেকবাবু জবাব দেন, আইনজীবী হিসাবে বলব, কোনও নেতারই বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া উচিত নয়। সিবিআই দফতরে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ায় কোনও প্রভাব খাটানো হয়েছে বলে মনে করি না।ওটি কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিস। মুখ্যমন্ত্রী যদি কলকাতা পুলিশ বা রাজ্য পুলিশের দফতরে বসে থাকতেন, তা হলে বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার অভিযোগ মানা যেত। ফের নারদ মামলায় অভিযুক্ত চার নেতার জামিনের শুনানী হবে বৃহস্পতিবার বেলা দুটোয়।