আগরতলা, ১২ জানুয়ারি (হি.স.)৷৷ জলজীবন মিশন রূপায়ণে অগ্রগতির ক্ষেত্রে ত্রিপুরা অনেকটা কেন্দ্রের সমগতিতে এগিয়ে চলেছে৷ আগামী মার্চের মধ্যে রাজ্যে আরও এক লক্ষাধিক পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে তা পূরণ হলে ত্রিপুরা জাতীয় গড়ের থেকে এগিয়ে যাবে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে সেরা পারফরমার হিসেবে উঠে আসবে৷ আজ মঙ্গলবার রাজ্য অতিথিশালায় কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রালয়ের অধীনে ত্রিপুরায় রূপায়িত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পর্যালোচনা করে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এ-কথা বলেন৷ পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও উপস্থিত ছিলেন৷ জলজীবন মিশন প্রকল্প রূপায়ণে পরিকল্পনা এবং কাজ সম্পাদনের বিষয়টি পুনরায় পর্যালোচনা করার উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন৷
তাঁর কথায়, সকলের কাছে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র৷ পানীয় জল সংযোগকারী পরিকাঠামোগুলি নির্মাণে গুণগত মান বজায় রাখার পাশাপাশি এগুলির দীর্ঘস্থায়িত্বের বিষয়টিকেও দফতরকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে৷
সভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী শেখাওয়াত বলেন, জলজীবন মিশনের অধীনে ত্রিপুরায় রূপায়িত পানীয় জল সংযোগ প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করতে মিশন মুডে কাজ করতে হবে৷ চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে হবে৷ তিনি বলেন, রাজ্যে জলজীবন মিশনের আওতায় বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল সংযোগ দেওয়ার কাজকে আরও ত্বরান্বিত করতে হবে৷ তবেই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পৌঁছনো সম্ভব৷ পাশাপাশি পানীয় জল সংযোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সম্পদ সহ যন্ত্রপাতিগুলি যথাযথ কার্যকর রাখার উপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন৷
এদিন তিনি বলেন, সকলকে পানীয় জল সংযোগের আওতায় আনতে রাজ্যের প্রতিটি গ্রামীণ এলাকার জন্য এক সঙ্গে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে৷ রাজ্যে ওডিএফ প্লাস-এর ক্ষেত্রে ক্ষেত্রপর্যায়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে৷ ওডিএফ প্লাসে কঠিন এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও কীভাবে সুচারু করা যায় তার জন্য গ্রামীণ এলাকার মানুষদের যুক্ত করা প্রয়োজন৷ এক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি স্থানীয় প্রশাসকদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন৷ এছাড়া পানীয় জল পরীক্ষার জন্য গ্রামীণ এলাকায় পরীক্ষাগার করার পাশাপাশি দ্রুত অ্যাক্রিডিটেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী পানীয় জল ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন৷ ত্রিপুরায় সেচ প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে বলে তিনি জানান৷
এদিনের পর্যালোচনা সভায় উত্তরপ্রদেশের জলশক্তি মন্ত্রকের মন্ত্রী ড় মহেন্দ্র সিং, কেন্দ্রীয় জলজীবন মিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি রঞ্জিতা এম এইচ, রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ কুমার, বিভিন্ন দফতরের প্রধানসচিব, সচিব সহ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারগণ উপস্থিত ছিলেন৷