BRAKING NEWS

পৃথক স্থানে যান দুর্ঘটনায় আহত সাত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/ চড়িলাম, ১২ নভেম্বর৷৷ রাজ্যে পথ ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে৷ রাজধানী আগরতলা শহর সংলগ্ণ আমবাগান এলাকায় একটি বাইক ও গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষে দু’’জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন৷জানা গেছে একটি দ্রুতগামী গাড়ি বাইককে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়৷ স্থানীয় লোকজনরা ঘটনা প্রত্যক্ষ করে এগিয়ে যান৷ খবর পাঠানো হয় দমকল বাহিনী এবং পুলিশকে৷ খবর পেয়ে দমকল বাহিনী এবং পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে৷ আহত বাইক চালক এবং আরোহীকে উদ্ধার করে দমকল বাহিনীর জওয়ানরা আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে যায়৷প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন গাড়িচালকের অসাবধানতার কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে৷ পুলিশ এ ব্যাপারে একটি মামলা গ্রহণ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ গাড়িটি আটক করার জন্য পুলিশি তৎপরতা শুরু করেছে৷এদিকে উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরের বটরশি বাজার এলাকায় বাইক এবং বাই সাইকেলের সংঘর্ষে দুইজন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন৷ জানা যায় একটি দ্রুতগামী বাইক একটি বাইসাইকেল কে ধাক্কা দেয়৷ তাতে দুজন গুরুতরভাবে আহত হন৷ ঘটনার পর পর স্থানীয় লোকজনরা দমকল বাহিনীর জওয়ানদের খবর দেন৷খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর জওয়ানরা আহতদের উদ্ধার করে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন৷ পুলিশ এ ব্যাপারে একটি মামলা গ্রহণ করে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷


বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চড়িলাম পরিমল চৌমুহনী এলাকায় এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে৷ উদয়পুর থেকে নিমন্ত্রণ খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে চড়িলাম পরিমল চৌমুহনী এলাকায় এসে একটি অটো গাড়ি চার চাকার লড়ির নিচে ঢুকে যায়৷ এমন সময় হোটেলে কিছু মানুষ থাকায় সঙ্গে সঙ্গে তারা ছুটে এসে অটো গাড়িটিকে বের করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিমল চৌমুহী বাজার থেকে বহু মানুষ ছুটে এসে অটো গাড়িতে থাকা যাত্রীদের রক্তাক্ত অবস্থায় টেনে বের করে৷খবর দেওয়া হয় বিশ্রামগঞ্জ ও বিশালগড় অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরে৷ বিশ্রামগঞ্জ থেকে সাথে সাথেই অগ্ণিনির্বাপক কর্মীরা এসে আহতদের বিশ্রামগঞ্জ প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যায়৷আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তথা ডাঃ রতন দেববর্মা তাদেরকে জিবিপি হাসপাতালে রেফার করে দেয়৷ গাড়িতে থাকা যাত্রীরা হলেন ঝুটন দেবনাথ, ৭২ বছর৷ গৌতম দেবনাথ, ৩৫ বছর মঞ্জু দেবনাথ, ৩৫ বছর উদয়ন দেবনাথ, কনিকা নাথ ভৌমিক৷ অটো চালক প্রহল্লাদ চক্রবর্তী ( পলো) মারাত্মক ভাবে জখম হয়৷আহত পাঁচজনের বাড়ি দক্ষিন চড়িলাম এলাকায়৷আহতদের পৌঁছানোর পর বিশালগড় থেকে অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরের গাড়িটি পৌঁছলে কর্মীদের কিল ঘুসি মারতে থাকে এলাকবাসীরা৷প্রাণ বাঁচাতে অগ্ণিনির্বাপক কর্মী রা বিশ্রামগঞ্জের দিকে ছুটে যায়৷তবে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *