মোদি ও অমিতকে দূর্যোধন ও দুঃশাসনের সঙ্গে তুলনা করলেন সীতারাম

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ এপ্রিল৷৷ অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদীকে মহাভারতের দুযর্োধন এবং দুঃশাসনের সঙ্গে তুলনা করলেন সিপিএম’এর সাধারন সম্পাদক সিতারাম ইয়েচুরি৷ শনিবার রবীন্দ্র ভবনের সামনে সিপিএম’এর পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের প্রার্থী শঙ্কর প্রসাদ দত্তের সমর্থনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি৷ সিতারাম ইয়েচুরি বলেন, মহাভারতের কৌরবেরা সব সময় বলতেন তারা সবচেয়ে শক্তিশালী এবং তাদের হারানো যাবে না৷ এই প্রসঙ্গ টেনে সীতারাম এদিন বলেন এদেশেও একটি দল আছে যারা সবসময় চিৎকার করছে সবচেয়ে বড় দল বলে এবং তারা দাবি করছে তাদের হারানো যাবে না৷ সিতারাম বলেন, মহাভারতের কৌরবদের একশ জনের মধ্যে দুজনের নাম সবাই জানেন৷ তারা হলেন দুযর্োধন এবং দুঃশাসন৷

তেমনি ভারতের সবচেয়ে বড় দল বলে যারা দাবি করেন তাদের মধ্যে দুজনের নামই সবাই জানেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ৷ তারা হলেন দুযর্োধন এবং দুঃশাসন৷ সিতারাম বলেন তারাও এবার হারবে কারনে দেশের মানুষ সংকল্পব্দধ হয়েছেন তাদের হারানোর জন্য৷ সেই সঙ্গে আরএসএস’কে শকুনি মামা বলেও কটাক্ষ করেন সীতারাম৷এদিন নির্বাচনী সমাবেশ থেকে সীতারাম পুরো আক্রমন হানলেন বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে৷ কংগ্রেস নিয়ে তেমন আক্রমণ ছিলনা তার গলাতে৷ শুধু বক্তব্যের মাঝখানে কেরালা থেকে রাহুল গান্ধির প্রার্থী হওয়াকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি৷ বলেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করলে অন্য কোন আসন থেকে লড়তে পারতেন৷
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ধর্মনিরপেক্ষ বিকল্প শক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করলেন পলিটব্যুরোর সদস্য তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতা মানিক সরকার৷ শনিবার আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক নির্বাচনী সমাবেশে এ অভিমত ব্যক্ত করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী৷ সমাবেশে সিপিআইএম সর্বভারতীয় সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সহ অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন৷ দেশের সংবিধান, মৌলিক অধিকার এবং গণতন্ত্র বাঁচাতে ধর্মনিরপেক্ষ বিকল্প শক্তিকে আরো জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷ তিনি বলেন আমাদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় কাজ হলো দেশকে রক্ষা করা৷ যেকোনো মূল্যে বিজেপি কে পরাস্ত করতে হবে৷ নীতিগত ও মতাদর্শগত দিক দিয়ে যারা ধর্মনিরপেক্ষ তাদের সঙ্গে নিয়েই বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে৷ এবারের নির্বাচনে আর এস এস নিয়ন্ত্রিত ধনীদের স্বার্থ রক্ষাকারি এবং পরিবেশ ধবংসের জন্য দায়ী বিজেপিকে কোনভাবেই ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷ শুধুমাত্র বিজেপি বিরোধী দলগুলি এ কথা বলছে না, সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রমজীবী, শ্রমিক, দিন মজুর, ছাত্র-যুবক সহ সকল অংশের মানুষ এই বিষয়ে সওয়াল করছেন৷ বিজেপি সরকারকে ধনী বণিক শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষাকারি বলে আখ্যায়িত করেন৷ ছোট মাঝারি ব্যবসায় দাও তাদেরকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন বলে উল্লেখ করেন মানিক সরকার৷ গত এক পক্ষকাল ধরে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বিরোধী দলের নেতা কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি অভিযোগ আনেন৷ মানিক সরকার বলেন দেশের সামনে বড় বিপদ ঘনিয়ে এসেছে৷ দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্র আক্রান্ত৷ ধর্মনিরপেক্ষ মৌলিক বৈশিষ্ট্য আক্রান্ত৷ অ সহিংসতার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে৷ স্বাধীন মতামত ব্যক্ত করা যাচ্ছে না৷ স্বাধীন মতামত ব্যক্ত করলে দেশদ্রোহী তকমা দেওয়া হচ্ছে৷ এমনকি দেশের বাইরে বের করা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন৷ মানিকবাবু আরো বলেন ত্রিপুরার মানুষ সংলাপের ঐতিহ্যে ভরপুর৷ রাজ্যের মানুষ এসব সহ্য করবেন না৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনেই বিজেপিকে পরাহত করে বামফ্রন্ট প্রার্থ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *