নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ আগস্ট৷৷ রাজ্যে এক অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷ দিনের পর দিন এই পরিস্থিতি অবনতির দিকে চলছে৷ অমানবিক হিংস্রতার নজির সৃষ্টি করছে ত্রিপুরা৷ এমনই আরো একটি ঘটনা ঘটল ভারতীয় বিদ্যা ভবনস সুকলে৷ ঘটনায় শুনা যায় এই সুকলের দ্বাদশ শ্রেণি ছাত্র দিবাকর সাহা’র সঙ্গে ঐ সুকলেরই এক ছাত্রীর ভালবাসার সম্পর্ক ছিল৷ এই ঘটনা জানতে পেরে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সহ কয়েকজন শিক্ষিকা গতকাল দিবাকর সাহা সহ তার অভিভাবক ও ছাত্রীটিকে অধক্ষের রুমে ডেকে আনে৷ তাদের মারাত্মকভাবে অপমানিত করে জোর করে ছাত্রীকে বলে যে দিবাকরকে রাখী পরাতে৷ ছাত্রীটি রাখী পরাতে না চাইলে তাকে জোর করে রাখী পরাতে বাধ্য করে৷ পাশাপাশি ছাত্রীটির বাবার মুচলেকা নেওয়া হয়৷ তা সহ্য করতে না পেরে দিবাকর সাহা সুকলের ছাদে গিয়ে মৃত্যু ঝাঁপ দেয়, বর্তমানে সে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে৷ তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি৷
এই ধরনের ঘটনা চূড়ান্ত অমানবিক ও হিংস্রতার বহিঃপ্রকাশ৷ আমরা এই অমানবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি৷ পাশাপাশি তাকে মৃত্যু ঝাঁপ দিতে যারা বাধ্য করেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি৷
যদিও আমরা লক্ষ্য করছি এধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রশাসন নিরব ভূমিকা গ্রহণ করে৷ তার আগেও ছাত্রী লহড়ি দেববর্মাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়, সুকল ছাত্র পূর্ণ বিশ্বাস, মমতা ত্রিপুরা, তমাল দাসকে খুন করা হয়৷ ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের ছাত্র সুদীপ বিশ্বাসের রহস্যজনক মৃত্যু হয়৷ তারপরও প্রসাসনের ঘুম ভাঙ্গে নি৷
একের পর এক মায়ের বুক খালি হচ্ছে, অসংখ্য রক্ত ঝড়ছে৷ তা দ্রুত বন্ধ হোক৷