নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমারঘাট, ১২ জুলাই ৷৷ ‘ক্যুইন’-এর পর এবার প্রথণবারের মতো রাজ্যের ‘কিউ’ প্রজাতির আনারস দুবাই পাড়ি দিতে চলেছে৷ এ উপলক্ষে দারচৈয়ে আজ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কিউ প্রজাতির আনারস দুবাই পাড়ি দেওয়ার সূচনা হয়৷ কুমারঘাট মহকুমার হর্টিকালচার উপধিকর্তা কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ভগবান দাস ও বিধায়ক সুধাংশু দাস, সমাজসেবী কিরিট দাস, দপ্তরের উপধিকর্তা রতিশ মালাকার প্রমুখ৷
অনুষ্ঠানে বিধায়ক ভগবান দাস বলেন, দারচৈ গ্রাম হচ্ছে আনারস চাষের এক উৎকৃষ্ট স্থান৷ আনারস উৎপাদনে দারচৈর নাম এখন শুধু রাজ্যেই নয়, বিশ্বেও এর পরিচিতি লাভ করতে চলেছে৷ তিনি দারচৈয়ের পার্শ্ববর্তী নালকাটার ন্যারামেক কারখানা পুনরায় চালু করার জন্য সচেষ্ট হবেন বলে জানান৷ অনুষ্ঠানে বিধায়ক সুধাংশু দাস বলেন, এখানকার আনারস বিদেশে রপ্তানীর মাধ্যমে বিশ্বের মানুষ এ রাজ্যের হর্টি সম্পদের গুণমান সম্পর্কে বিশেষভাবে পরিচিত হবেন৷ তিনি রাজ্যের উৎপাদিত আনারস বিদেশে রপ্তানীর ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দারচৈ ভিলেজের চেয়ারম্যান জে ডার্লং৷ স্বাগত ভাষণ দেন কুমারঘাট মহকুমা হর্টিকালচার কার্যালয়ের উপধিকর্তা কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী৷ উল্লেখ্য, আজ দারচৈ থেকে দুবাইয়ে রপ্তানীর উদ্দেশ্যে ১৩৯১ কেজি কিউ প্রজাতির আনারস ১৩ টাকা কেজি দরে পাঠানো হয়৷ অনুষ্ঠানে অতিথিগণ পতাকা নেড়ে এই কিউ প্রজাতির আনারস রপ্তানীর সূচনা করেন৷ চারজন আনারস চাষীর হাতে অনুষ্ঠানে আনারসের মূল্য বাবদ ১৮ হাজার ৮৩ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়৷