তিনসুকিয়া, ২৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : নিখিল অসম চা জনগোষ্ঠী ছাত্র ইউনিয়নের ডাকে ১২ ঘণ্টার অসম বনধ-এর জেরে গোটা উজান অসমের জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গেছে।
অসমের ছয় জনগোষ্ঠীকে জনজাতিকরণর দাবি-সহ অসমে হিন্দু বালাদেশিদের নাগরিকত্বের বিরদ্ধাচরণ এবং কৃষক নেতা অখিল গগৈকে উপর্যুপরি নানা মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে নিখিল অসম চা জনগোষ্ঠী ছাত্র ইউনিয়নের (অল আসাম টি ট্রাইব স্টুডেন্টস ইউনিয়ন সংক্ষেপে আটসু) ডাকে ১২ ঘণ্টার অসম বনধ-এর জেরে গোটা উজান অসমের জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গেছে।
বুধবার ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পাঁচটা পর্যন্ত বারো ঘণ্টার বনধ-সমর্থকরা উজানের বিভিন্ন জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে পূর্ত সড়কে অবরোধ গড়ে তুলে তাঁদের দাবির সমর্থনে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। রাস্তায় টায়ার পোড়াচ্ছেন বনধ-সমর্থকরা। বনধ-এর প্রভাব পড়েছে উজানের কয়েকটি জেলা ও মহকুমায়। সরকারি অফিস-কাছারির সামনে পিকেটাররা বসে দফতরগুলির কাজে বাগড়া দিচ্ছেন। ফলে বেশিরভাগ সরকারি অফিস, স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। রাজপথ শুনশান। বেরোচ্ছে না কোনও গাড়িঘোড়া।
আজকের বনধ-এ নুমলিগড়, নাহরকটিয়া নামরূপ, টিংখং, তিনসুকিয়া, দুলিয়াজান, মরিয়নি, গোলাঘাট, শিবসাগর, লখিমপুর, নাজিরা, টিয়ক, প্রভৃতি অঞ্চলের জনজীবন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। বনধ-এর ফলে ব্যাহত হয়েছে লাকুয়া, দুলিয়াজান ইত্যাদি এলাকায় ওএনজিসি, বিসিপিএল এবং তেল কোম্পানির কাজকর্ম।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, মরান, মটক, তাই আহোম, চুতিয়া, কোচ রাজবংশী এবং চা জনগোষ্ঠীকে শীঘ্র তাঁদের আদিবাসীর স্বীকৃতি প্রদানে সরকারের চলমান প্রক্রিয়ায় বিলম্বের প্রতিবাদে আন্দোলন সাব্যস্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আটসা-র পদাধিকারীরা।