নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ ডিসেম্বর৷৷ জোট গঠনে আগ্রহ দেখিয়ে আগরতলা থেকে গুয়াহাটি উড়ে গেলেন আই পি এফ টি’র পাঁচ নেতা৷ তবে এ ব্যাপারে আইপিএফটি নেতাদের কেউই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ৷ রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক মূহল সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, উপজাতি ভিত্তিক আঞ্চলিক দল আইপিএফটি’র সঙ্গে বিজেপি’র জোট গঠনের প্রাথমিক স্তরের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে৷ কিন্তু এখন আবার আইপিএফটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে৷ গত দুদিন ধরে তাঁরা বিজেপি’র নির্বাচনী প্রভারী অসমের অর্থমন্ত্রী ডঃ হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন৷ জানা গেছে, ত্রিপুরার স্থানীয় নেতাদের আড়াল করে এই আলোচনার চেষ্টা ঘিরে যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার বিকেলে আইপিএফটি’র পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল গুয়াহাটির উদ্দেশ উড়ে গেছেন৷ আজ রাতেই তারা নেডা-র আহ্বায়ক হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে জোট গঠন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে খানাপাড়া একটি হোটেলে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে৷ আইপিএফটি’র নেতারা সোমবার রাতেও গুয়াহাটি যাওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে পারেননি৷ কিন্তু আজ তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁরা গুয়াহাটি উড়ে গেছেন৷ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশ্ণের উত্তরে বিমানবন্দর থেকে পার্টির সম্পাদক মেবারকুমার জামাতিয়া বলেন, তাঁরা গুয়াহাটি যাচেছন৷ জোট সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হবে হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে৷ দলের তরফ থেকে কিছু প্রস্তাব রাখা হবে৷ আর তার উপর ভিত্তি করেই আলোচনা হবে৷ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে তিনি অস্বীকার করেন৷ উল্লেখ করা যেতে পারে, পৃথক রাজ্যের দাবিতে অনড় আইপিএফটি ইতিপূর্বে আলোচনা শুরুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পৃথক রাজ্যের দাবির যৌক্তিকতা বিচার করাদ্দর জন্য একটি মডালিটি কমিটি গঠন করার দাবি করেছিল৷ এ ধরনের কোনও কমিটি গঠন না করা হলে জোট নিয়ে আলোচনায় তাঁরা যাবে না বলেও স্পষ্ট বয়ান দিয়েছিল৷ কিন্তু আচমকা তাঁরা তাঁদের পূর্ব অবস্থান থেকে সরে এসে বিজেপি’র সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে৷
এদিকে, বামেদের গণমুক্তি পরিষদের দখলে বর্তমান সময়ে ৯৯ শতাংশ আসন৷ বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসাবে রাজ্য ভাগের দাবীর সমর্থনে আই পি এফ টি’র এন সি গোষ্ঠী মজবুত ভিত তৈরী করে নিয়েছে৷ বিভিন্ন সময়ে এন সি গোষ্ঠী নেতাদের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে মাঠঘাট কাপিয়েছে শাসক দল৷ বিগতদিনে জাতীয় সড়ক অবরোধ, উলঙ্গ নৃত্যের উন্মাদনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে তিক্তাতাও রয়ে গিয়েছে৷ এই উদ্ভট পরিস্থিতিতে রাজ্য ভাগ করে বিচ্ছিন্নতার দাবীদারদের সঙ্গে জোট করলে বিজেপি’র ভরাডুবি হবে, বলাই বাহুল্য৷
বিভাজন নীতি এবং উগ্র ধর্মান্ধতা নিয়ে বামেরা বিজেপি বিরোধী প্রচার করছেন৷ প্রদেশ নেতাদের কোন রণনীতি পাহাড়ে সংগঠন বিস্তারে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ৷ মোদীর সফরের প্রাকলগ্ণে নেডার চেয়ারম্যানের এন সি’দের দাবীর সঙ্গে আপোষ করার রণকৌশল? নাকি সরে গিয়ে মাস্টার স্ট্রোক খেলবেন, রাজনৈতিক মহলে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন৷
2017-12-27