নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ ডিসেম্বর৷৷ সাড়া বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রেখে ত্রিপুরায়ও আজ ধুমধাম করে বড়দিন পালিত হচ্ছে৷ মূল অনুষ্ঠানটি হচ্ছে আগরতলার মরিয়মনগর চার্চে৷ বড়দিলকে কেন্দ্র করে মরিয়মনগর চার্চে প্রচুর লোগ সমাগম হয়েছে৷ সমগ্র এলাকাজুড়ে মেলা বসেছে৷ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই এই আনন্দোৎসবে শামিল হয়েছেন৷ আলোকমালায় সুসজ্জিত করা হয়েছে সমগ্র এলাকাকে৷ এর মূল আয়োজকদের প্রায় সকলেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী৷ উল্লেখ করা যেতে পারে, মরিয়মনগরের এই চার্চ বহুকাল পুরনো৷ রাজন্য আমলে ত্রিপুরার রাজারা এই রাজ্যকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য গোলন্দত্রাজ বাহিনীতে তোপ চালনায় অভিজ্ঞ পর্তুগিজদের নিয়ে আসেন উচ্চ বেতনের বিনিময়ে৷ রাজার রাজত্ব শেষ হলেও তাঁর কিন্তু আর ফিরে যাননি৷ মাটির টানে রয়ে গেলেন এখানেই৷ তাঁরা সেই সময় থেকে মরিয়মনগরে বসবাস করছেন৷ ফলে তাঁদের পূর্জ-অর্চনায়ও হিন্দু বাঙালির প্রভাব পড়েছে৷ তাঁরা এখনও খ্রিষ্টান হলেও বিবাহিত মহিলারা শাখা-সিঁদুর পরেন৷ বাড়িতে লক্ষ্মীপূজা করেন৷ আবার চার্চে গিয়ে যিশুর আরাধনাও করেন৷ আর আজকের বড়দিনেও প্রভাব স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়েছে৷ আয়োজন করা হয়েছে পিঠেপুলির৷ এদিকে, বড়দিন উপলক্ষে রাজধানী আগরতলা শহর সহ বিভিন্ন মহকুমা শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল৷ বিভিন্ন চার্চের সামনে বড়দিন উপলক্ষে বসে মেলা৷ শান্তি সম্প্রীতির পাশপাশি সৌভ্রাতৃত্বের যে ঐতিহ্য এরাজ্যে রয়েছে তা লক্ষ্য করা গিয়েছে সব ধর্মের মিলনক্ষেত্র মরিয়মনগরে৷
2017-12-26