নয়াদিল্লি, ২৬ ডিসেম্বর (হি.স.): পাকিস্তান থেকে ফিরে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দেখা করলেন কুলভূষণ যাদবের মা ও স্ত্রী | মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রীর দেখা হয় পাকিস্তানে বন্দী থাকা প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদবের মা ও স্ত্রীর ।
সোমবারই পাকিস্তানের জেলে বন্দি প্রাক্তন ভারতীয় নৌ কমান্ডার কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে দেখা করেন তাঁর মা ও স্ত্রী | পাক বিদেশমন্ত্রকের আগা শাহী ব্লকে কাঁচের দেওয়ালের ভিতর থেকে দেখা করতে দেওয়া হয় কুলভূষণকে । আজ সকালে পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরেন কুলভূষণের মা ও স্ত্রী। এরপরই দিল্লিতে বিদেশমন্ত্রীর বাড়িতে দেখা করেন তাঁরা । ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্কর ও বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার ।
গত বছরের ৩ মার্চ গ্রেফতার হওয়ার পর এই প্রথম পরিবারের সদস্যদের মুখোমুখি হলেন তিনি। ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার জেপি সিং-কে সঙ্গে নিয়ে কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর স্ত্রী চেতানুকুল যাদব ও মা অবন্তী যাদব । পাক টিভি চ্যানেলের ফুটেজে দেখা গিয়েছে, পাক জেলে বন্দি কুলভূষণের মা ও স্ত্রী বিদেশমন্ত্রকের মূল ভবনে ঢুকছেন, তারপর সেখানকার দরজা বন্ধ হয়ে যায় । পাকিস্তানের সময় দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ তাঁদের সাক্ষতপর্ব শুরু হয়।পাক সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় কাঁচের দেওয়ালের ভিতর থেকে দেখা করতে দেওয়া হয় কুলভূষণকে। প্রায় ৩০ মিনিট ইন্টারকমে কথা হয় তাঁদের।
যদিও তাঁদের মাঝে কাঁচের দেওয়াল রাখায় প্রশ্ন ওঠে সাক্ষাতের পদ্ধতি নিয়ে। এবিষয়ে পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জ়ল বলেন, “নিরাপত্তার কারণে কাঁচের দেওয়াল ছিল। আমরা আগেই তাঁদের বলেছিলাম যে, আপনারা কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন, কিন্তু সেখানে নিরাপত্তার বাধা থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “ইসলামাবাদ কুলভূষণ যাদবকে ভারতের সন্ত্রাসের মুখ হিসাবে বিবেচনা করে। বিশেষ করে পাকিস্তানের মধ্যে চলা সন্ত্রাসবাদ।”
সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, কুলভূষণ যাদব স্বীকার করছেন, ২ বছর আগে তিনি ইরান থেকে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, মা ও স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কিছু আগেই ভিডিওটি করা হয়। ভিডিওতে কুলভূষণ যাদবকে বলতে শোনা যাচ্ছে, পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি পাকিস্তান সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলেন। পাকিস্তান সেই অনুরোধ মেনে নেওয়াতে তিনি কৃতজ্ঞ।