ইটানগর, ২৪ ডিসেম্বর, (হি.স.) : অরুণাচল প্রদেশের দুটি আসনে বহাল রয়েছে বিজেপি-জাদু। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনের ফলাফলে লিকাবালি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী মদাম দিনি বিজেপি-র কারদো নিইগ্যরের কাছে পরাজিত হয়েছেন। অন্যদিকে, পাক্কে-কেসাঙে প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস প্রার্থী কামেং দোলোকে পরাস্ত করেছেন বিজেপি প্রার্থী বিয়ারাম ওয়াঘে। পাক্কে-কেসাঙে ৪৭৫ ভোটে কামেং দোলোকে হারিয়েছেন বিয়ারাম। তাছাড়া লিকাবালিতে মাত্র ৩১৯ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বিজেপি-র কারদো নিইগ্যর।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, বিধায়ক তথা রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জোমদে কেনার অকাল মৃত্যুতে লিকাবালি আসনটি গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শূন্য হয়েছিল। অন্যদিকে, ২০১৪ সালের ১৫ মার্চের নির্বাচনে তদানীন্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কামেং দোলোর জয়কে অবৈধ বলে গুয়াহাটি উচ্চ আদালতের রায়ের পর খালি হয়ে পড়েছিল পাক্কে-কেসাং বিধানসভা আসন। অবৈধভাবে কামেং দোলো বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বলে তদানীন্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী আতুম ওয়েলি গুয়াহাটি উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন। ওই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি ও বিচার পর্বের পর কামেংকে অবৈধ বিধায়ক বলে তাঁর বিধানসভায় সদস্যপদ খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
গত ২১ ডিসেম্বরের উপনির্বাচনে পাক্কে-কেসাং এবং লিকাবালিতে যুগ্মভাবে ৬৮.৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এর মধ্যে পাক্কে-কেসাঙে ৩,৯৪৩ জন মহিলা-সহ ৭.৪৫৫ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৮৬ এবং লিকাবালিতে ৫,৩০০ জন মহিলা-সহ ১০,৬০০ জনের মধ্যে ৫১ শতাংশ ভোট দান হয়েছিল।
লোয়ার সিয়াং জেলার ২৮ নম্বর লিকাবালি আসনের কাংকু রাজস্ব সার্কলের ৩৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ছয়টি কেন্দ্রের ভোট বয়কট করেছিলেন এলাকার জনসাধারণ। ‘নো রোড নো ভোট’ স্লোগানের বলে বহু আগে এই ছয় কেন্দ্রের অন্তর্গত ভোটাররা আন্দোলন কর্মসূচি জারি করেছিলেন। যে ছয় কেন্দ্রে ভোট বয়কট করা হয়েছিল সেগুলি যথাক্রমে কাংকু, বালিসোরি, কামম, এনওপি, বরোজন এবং উলি।