সেকেন্দ্রারাবাদ, ২২ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : বিয়ের প্রস্তাব অস্বীকার করার পরিণতিতে প্রকাশ্যে রাস্তায় তরুণীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল তরুণ। অভিযোগ, বছর বাইশের ওই তরুণীর প্রাক্তন সহকর্মী কার্তিক বেশ কয়েকবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সে রাজি ছিলেন না। অভিযোগ, সেই রাগেই প্রকাশ্যে রাস্তায় ওই তরুণীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল ওই তরুণ। নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দরাবাদে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ অফিসে থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সন্ধ্যা। সেকেন্দ্রারাবাদ এলাকার কাছে তাঁর পথ আটকায় কার্তিক। দুজনেই মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ, এরপরই আচমকাই সন্ধ্যায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয় কার্তিক এবং আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। জ্বলন্ত শরীরে রাস্তায় ছোটাছুটি করতে শুরু করেন সন্ধ্যা। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন পথচলতি মানুষ। ওই তরুণীকে উদ্ধার হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। শুক্রবার সকালে হাসপাতালে মারা যান সন্ধ্যা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। অভিযুক্ত কার্তিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত দু’বছর ধরে বেকার কার্তিক। বেকারত্বের জ্বালা ভুলতে বেহিসেবি জীবনযাপন করতে শুরু করেছিল সে। নিয়মিত চলত মদ্যপান। মানসিক অবসাদেও ভুগছিল অভিযুক্ত। কিন্তু, ওই পরিস্থিতিতেও সন্ধ্যাকে বিরক্ত করত কার্তিক। চাকরি ছেড়ে বিয়ের জন্য চাপ দিত। জেরায় কার্তিক জানিয়েছে, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সন্ধ্যাকে পুড়িয়ে মেরেছে সে।
জানা গিয়েছে, সেকেন্দ্রাবাদ শহরে একটি বেসরকারি সংস্থার রিসেপশনিস্ট ছিলেন বছর বাইশের সন্ধ্যা রানি। পুলিশ জানিয়েছে, বছর দুয়েক আগেই ওই সংস্থায় চাকরি করতেন অভিযুক্ত কার্তিক। একসময়ে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও ছিল। পরবর্তীকালে সম্পর্কের অবনতি হয়। কিন্তু সন্ধ্যার পিছু ছাড়েনি কার্তিক। গত বেশ কয়েক মাস ধরেই ওই তরুণীকে বিরক্ত করত সে। এমনকি ফোনে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল সে। কিন্তু কার্তিককে বিয়ে করতে চাননি সন্ধ্যা। সেই অপরাধেরই পুড়ে মরতে হল ওই তরুণীকে।