ভোপাল, ২১ ডিসেম্বর (হি.স.) : গত ৩১ অক্টোবর রাতে ভোপালের হাবিবগঞ্জ এলাকায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়| সেই মামলার রায় জেলার বিশেষ আদালত আগামী ২৩ ডিসেম্বর জানাবে বলে জানিয়েছে| ইতিমধ্যেই এই মামলার শুনানি পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে| অভিযোগকারীর আইনজীবী ও সরকার পক্ষের আইনজীবী দু’ পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতের বিচারপতি সবিতা দুবে জানিয়েছেন সওয়াল জবাবের পর্ব শেষ হয়েছে | আগামী শনিবার রায় ঘোষণা হবে|
উল্লেখ্য এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রেলপুলিশ গলু ওরফে বিহারী, অমর ওরফে ছোটু, রাজু ওরফে রাজেশ এবং রাজু ওরফে রমেশকে গ্রেফতার করা হয়েছিল| ধৃত পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ জেরা করে জোড়ালো প্রমাণ জোগার করে আদালতে জমা দিয়েছে| তার মধ্যে ধর্ষণ, হত্যার চেষ্টা মত গুরুতর অভিযোগ তুলেছে| বিস্তারিত ঘটনার ঘটনার সব দিক বিবেচনা করে এবং বিরোধী পক্ষের আইনজীবীর দাখিল করা সব নথিপত্র দেখে সরকারী আইনজীবী রিনা বর্মা নির্যাতিতার বাড়ির লোকজন সহ ২৮ জন সাক্ষীর বয়ান আদালতে পেশ করেছে| সমস্ত ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে বিচারক সবিতা ডুবে শনিবার রায় ঘোষণার দিন ঘোষণা করেন|প্রসঙ্গত, গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ কোচিং সেরে ফেরার পথে হাবিবগঞ্জ স্টেশনে নামেন রেল পুলিশের (আরপিএফ) সহকারী সাব-ইনসপেক্টরের মেয়ে (১৯)। সেখান থেকে গলিপথে বাড়ি যাওয়ার সময় গোলু বিহারি ও তার শালা অমর তাঁকে দেখতে পায়। এবং পাশের পরিত্যক্ত একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে গণধর্ষণ করে। পরে অমরের হাতে পড়ুয়াকে তুলে দিয়ে গুটখা খেতে যায় গোলু। রাত ১০টা নাগাদ আরও দু’জনকে নিয়ে এসে তরুণীকে গণধর্ষণ করে তারা। অর্থাৎ তিন ঘণ্টা ধরে চলে গণধর্ষণ। মহিলার থেকে ঘড়ি, গয়না, টাকা-পয়সা ও ফোন ছিনিয়ে নিয়ে মৃত ভেবে রেল লাইনের ধারে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এই ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ধ্যপ্রদেশ পুলিশ | পাশাপাশি, এফআইআর নিতে দেরি করার জন্য এক পুলিশ সুপারসহ চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।