নয়াদিল্লি, ২০ ডিসেম্বর(হি.স.): গুজরাট এবং হিমাচলপ্রদেশের ফলাফল ঘোষণার পরে এই প্রথম দলের সাংসদের মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার বৈঠকের শুরুতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাংসদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এটা বড় জয়। আমরা এখন ১৯ টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছি। এমনকি ইন্দিরা গান্ধী যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ১৮ টি রাজ্যে তাদের সরকার ছিল।’ পাশাপাশি আটের দশকে দুইটি লোকসভা আসন থেকে আজ বিজেপির এই তুঙ্গস্পর্শী বৃদ্ধির স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে দলের সাংসদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন একাধিক রাজ্যসহ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন রয়েছে তাই আত্মতুষ্টির কোন জায়গা নেই।
গুজরাট নির্বাচনে কংগ্রেসের নৈতিক জয়ের দাবিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরাজয়ের মধ্যে জয় খোঁজার হাস্যকর প্রচেষ্টায় রত কংগ্রেস।’ এই বিষয়ে সাংসদের বৈঠকে উপস্থিত থাকা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অনন্ত কুমার জানিয়েছেন, ‘বিরোধীরা অপ্রয়োজনীয় এবং তুচ্ছ মন্তব্য করছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলছে। যা একেবারেই অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিক।’ তিনি জানান ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকে বুথস্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বিরোধীদের সব ধরণের নেতিবাচক সমালোচনাকে গুরুত্ব না দিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়লাভের জন্য মনোনিবেশ করতে হবে।
যুবকদের বিজেপির প্রতি আরও বেশি আকৃষ্টি করার প্রসঙ্গে অনন্ত কুমার জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশ, সমাজ, উন্নয়নের জন্য যুবশক্তিকে আরও বেশি নিয়োজিত করতে হবে। এর জন্য আগামী বছর যাদের ১৮ বছর বয়স হবে তাদের সঙ্গেও সংযোগ বাড়ানোর উপর জোর দেন তিনি।’ বৈঠকে হিমাচলপ্রদেশ এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে হবেন তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে । এবিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। এদিন বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান দলের সাংসদরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ।