ম্যাঙ্গালুরু, ১৯ ডিসেম্বর (হি.স.): মধ্যরাতেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখতে ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরে জনতার ভিড় | সাইক্লোন ওক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার গভীররাতে ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী | গভীররাতেও ভিড় ছিল দেখার মতো।
মঙ্গলবার সাইক্লোন ওক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত কেরালা, লাক্ষাদ্বীপ, তামিলনাড়ুর পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী । সাইক্লোন বিধ্বস্ত মানুষ, মৎস্যজীবী, চাষি, সরকারি আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি । তার আগে গতরাতেই ম্যাঙ্গালুরু পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। গভীররাতেও ভিড় ছিল দেখার মতো। বিমানবন্দরের বাইরে আসতেই শুরু হয় মোদী…মোদী…চিৎকার । জনতাকে দেখে হাত নাড়লেন তিনিও। সামনে গিয়ে কথা বলারও চেষ্টা করলেন।
আজ সকাল সকাল প্রধানমন্ত্রী রওনা দিয়েছেন লাক্ষাদ্বীপ। সেখান থেকে যাবেন তামিলনাড়ু ও কেরালা। গতকালই প্রধানমন্ত্রী টুইট করেন। লেখেন, “সাইক্লোন ওক্ষির জেরে তিন জায়গার পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। আমি দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করব।” তিনি আরও লেখেন, “কেন্দ্র সবসময় পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। উদ্ধার ও ত্রাণ দেওয়ার কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হচ্ছে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকব।”
উল্লেখ্য গত ৩০ নভেম্বর তামিলনাড়ু ও কেরালায় আছড়ে পড়েসাইক্লোন ওক্ষি। এই সাইক্লোনে ১১৫ জনের প্রাণ গেছে। নিখোঁজ বহু। পরিস্থিতি এখনও অনুকূলে আসেনি। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কেরালার আলাপ্পুঝা, ইদুক্কি, কোল্লাম, পাথানামথিট্টা, তিরুবনন্তপুরম। ধসে বিপর্যস্ত রাজ্যের পাহাড়ি এলাকা। বিপর্যস্ত তামিলনাড়ুর বিস্তীর্ণ এলাকাও। কন্যাকুমারী, তিরুনেলভেলি, তুতুকুডি ও তুতিকোরিনে ঝড়ে উপড়ে গেছে গাছ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে উদ্ধার কাজ | দুর্গতদের উদ্ধারে নামে সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নামানো হয় নৌ জাহাজও। কোচিতে পাঁচটি ও লাক্ষাদ্বীপে দুটি নৌ জাহাজ মোতায়েন করা হয়। উদ্ধারকাজে নামে বায়ুসেনার বিমান। নামানো হয় সেনা চপারও।
এদিকে, এই বিপর্যয় নিয়ে গতকালই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। তিনি কেরালা, তামিলনাড়ু ও লাক্ষাদ্বীপের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার কথাও বলেন।