নিউ ইয়র্ক, ১৯ ডিসেম্বর (হি.স.) সম্প্রতি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই সূত্রে নিজেদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করেছিল আমেরিকা। কিন্তু সেই স্বীকৃতি নিয়েই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। সোমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ পক্ষ থেকে মার্কিন রাষ্ট্রপতির এই ঘোষণার বিপক্ষে প্রস্তাবের খসড়া পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবকে ভেটো প্রয়োগ করে আটকাল আমেরিকা। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে থাকা ১৪ টি দেশই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই স্বীকৃতির বিরোধিতা করে প্রস্তাবের খসড়া পেশ করেছিল। কিন্তু আমেরিকার ভেটো প্রয়োগ করে তা আটকে দেয়।
এই দৃঢ় পদক্ষেপের জন্য মার্কিন প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। পাশাপাশি রাষ্ট্রসঙ্ঘে দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন দূত নিক্কি হেলিকেও নিজের কৃতজ্ঞতা জানান । এই বিষয়ে এক ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘সত্য পরাজিত করেছে মিথ্যাকে। ধন্যবাদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ধন্যবাদ নিক্কি হেলিকে।’ এই বিষয়ে নিক্কি হেলি বলেন, ‘কোথায় দূতাবাস রাখতে হবে সেই জ্ঞান আমেরিকাকে অন্য কোন দেশ যেন না দিতে আসে।’
উল্লেখ্য, আমেরিকার সহযোগী দেশ হিসেবে পরিচিত ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান মতো দেশগুলিও ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের আনা খসড়া প্রস্তাবনাকে সমর্থন করেছিল। আমেরিকা ভেটো প্রয়োক করে তা আটকে দেয়। উল্লেখ্য, ইজরায়েল রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকে আমেরিকা বন্ধু হিসেবে মধ্য প্রাচ্যের এই ছোট্ট দেশটির পাশে থেকেছে। ২০১৭ সালেও যে তার কোন বদল ঘটেনি তা ফের একবার প্রামাণিত হল। এই বিষয়ে নিক্কি হেলি বলেন, ‘ নিরাপত্তা পরিষদে আজ অপমানের সাক্ষী থাকলাম আমারা। যা কোনওদিনও ভোলা যাবে না। ইসরায়েল-প্যালেসটিন দ্বন্দ্বে রাষ্ট্রসঙ্ঘ ভাল করার থেকে খারাপ করছে অনেক বেশি।’ অন্যদিকে আমেরিকার এই পদক্ষেপের বিরোধীতা করেছে প্যালেসটিন।