নয়াদিল্লি, ১৬ ডিসেম্বর (হি.স.): আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেস সভাপতির পদে বসে, প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিন্দায় মুখর হলেন রাহুল গান্ধী। কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশকে মধ্যযুগে নিয়ে যাচ্ছেন। বিজেপির কর্মীরা নিজেদের জন্য লড়াই করছে। কংগ্রেস কর্মীরা নিজেদের মানুষের সেবায় চালিত করছে। আমরা বিজেপিকে নিজেদের ভাই-বোন মনে করি। কিন্তু, তাদের মতাদর্শে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা ঘৃণা দিয়ে ঘৃণার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করব না। আমাদের সামনে আসা যে কোনও চ্যালেঞ্জকে আমরা ভালবাসা ও স্নেহ দিয়ে মোকাবিলা করব। তারা ক্ষমতার কাঠামোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু আমরা হচ্ছি জনগণের প্রাচীর।’
সভাপতি হওয়ার পরে নিজের প্রথম বক্তৃতায় রাহুল শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস দলের ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা বৃহৎ পুরনো দল। কিন্তু আগামীদিনে আমরা বৃহৎ এবং যুবদলে দলে পরিণত হবো। সহানুভূতি সম্পন্ন এবং প্রেমময় ভারত গড়ার জন্য আমি দেশের যুবসম্প্রদায় কে আহ্বান করছি। যারা একা লড়তে পারছে না। আমারা তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াই। এটাই ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের আদর্শ। এবং সেই ধারা এখনও অব্যহত রাখতে হবে। তারা কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। আমারা সব কণ্ঠকে বলতে দিচ্ছি। তারা অসম্মান করছে। আমরা শ্রদ্ধা করছি। ১৩ বছরের আমার রাজনৈতিক জীবনে আমি আপনাদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তার জন্য ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে।’ নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘আমি আদর্শবাদী। আমার সহনাগরিকদের প্রতি বিশ্বাস থেকে আমি রাজনীতিতে এসেছি। দয়া ও সত্যের উপর ভিত্তি করে আমি রাজনীতি করছি। ভারতের পুরনো গরিমাকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। পরে নাম না করে বিজেপির নিন্দায় সরব হন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের দুর্বল করার চেষ্টা করে যাবে। কিন্তু কংগ্রেস হাল ছাড়বে না। যে কোন মূল্যে গণকণ্ঠকে রক্ষা করব। আমরা ভারতের প্রাচীন, বর্তমান ও ভবিষ্যতের ইতিহাসকে রক্ষা করার চেষ্টা করব। তারা ঘৃণা ছড়ায় আমরা ভালবাসা ছড়াই। যে ঘৃণার আগুন তারা জ্বালিয়েছে তা একমাত্র কংগ্রেসই নেভাতে পারে।’ পাশাপাশি তিনি বলেন হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে আমি সকল কংগ্রেসকর্মীকে ভালবাসা জানাই।
2017-12-16