আসল ও নকলের টানাপোড়নে ত্রিধা বিভক্ত চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ ডিসেম্বর৷৷ আসল ও নকলের টানাপোড়নে ত্রিধাবিভক্ত চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলন৷ পাশাপাশি চাকুরীচ্যুত ১০৩২৩ জন শিক্ষকদের মধ্যে আসল আন্দোলনকারীদের নিয়ে দ্বন্দ্বে রাজ্যবাসী৷ মহাকরণে যাবার পথ অবরুদ্ধ করে রাখা কিংবা জাতীয় সড়ক ও রেল অবরোধ এই সমস্ত আন্দোলন থেকে সমদূরত্ব বজায় রেখেছে চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের একটি গোষ্ঠি৷ তাতে স্পষ্ট, চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলন ত্রিধাবিভক্ত৷ মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের একটি গোষ্ঠি মহাকরণের পথ, জাতীয় সড়ক এবং রেল অবরোধকারীদের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে৷ অবরোধের নামে আন্দোলনকারীরা বিভ্রান্ত করে ঐ গোষ্ঠি দাবি করেছে৷ তবে, কর্ম সংস্থানের প্রশ্ণে অবরোধকারী চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের পাশেই রয়েছে এই গোষ্ঠির শিক্ষকরা৷ তাঁদের মতেও, রাজ্য সরকারের ভুল নিয়োগনীতির কারণেই ১০৩২৩ জন শিক্ষকের চাকুরী বাতিল হয়েছে৷
এদিন সংবাদিক সম্মেলনে ‘আমরা ১০৩২৩’ ব্যানারে চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের একটি গোষ্ঠি এদিন অবরোধ আন্দোলনের কড়া সমালোচনা করেছে৷ তাদের বক্তব্য, ১০৩২৩ জন চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের মধ্যে একতা রয়েছে এমনটা মনে করছিনা৷ বৃহৎ সংখ্যক চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের শক্তি হ্রাস করার জন্য চেষ্টা চলছে৷ এই গোষ্ঠির পক্ষে শিক্ষক ভাস্কর দেব বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ১০৩২৩ জন চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের বিভিন্ন গোষ্ঠিতে বিভাজিত হয়ে আন্দোলন করতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ তিনি বলেন, আন্দোলনে কোন আপত্তি নেই৷ কিন্তু, রেল ও জাতীয় সড়ক এবং মহাকরণের পথে অবরোধ মেনে নেওয়া যায়না৷ এই হটকারি সিদ্ধান্তের সাথে সহমত পোষণ করছিনা৷ তাঁর বক্তব্য, ১০৩২৩ এই নাম ব্যবহার করে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে৷ তাই তিনি অবরোধকারী চাকুরীচ্যুত শিক্ষকরা বিভ্রান্ত বলে তোপ দাগেন৷ তিনি জানান, ১০৩২৩ জন শিক্ষকের চাকুরী বাতিলের ঘটনায় বুধবার আগরতলায় মিছিল ও সমাবেশ সংগঠিত করা হবে৷ এদিন এই গোষ্ঠির শিক্ষকরা দাবি করেন, রাজ্য সরকার তাদের কাজের নিশ্চিয়তা দেবেই৷ তাতে মনে হয়েছে, এই গোষ্ঠির শিক্ষকরা রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করছে৷
অবশ্য কর্মসংস্থানের প্রশ্ণে সকলেই একসুরে দাবি তুলেছেন৷ অবরোধকারী চাকুরীচ্যুত শিক্ষকরাও কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতের দাবিতে আন্দোলন চালিয়েছেন৷ এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এই গোষ্ঠিও কর্মসংস্থানের নিশ্চিয়তার দাবি তুলেছেন৷ তাঁদের বক্তব্য, শিক্ষক কিংবা অশিক্ষক যে কোন পদেই কর্মসংস্থান নিশ্চিত হোক চাইছেন তাঁরা৷ পাশাপাশি এই গোষ্ঠির শিক্ষকরা স্বীকার করেছেন, রাজ্য সরকারের ভুল নিয়োগনীতির কারণেই তাঁদের চাকুরী বাতিল হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *