নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ ডিসেম্বর৷৷ ১৮’র নির্বাচনী বিউগল বেজে গিয়েছে৷ জমে উঠছে পরিবর্তন বনাম প্রত্যাবর্তনের জমজমাট লড়াই৷ ২৪ বছরের ক্ষমতার মসনদ ধরে রাখার জন্য মাটি কামড়ে ধরে রাখতে মরিয়া শাসক শিবির৷ রাজ্য রাজনীতির মেরুকরণে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে ভারতীয় জনতা পার্টির উত্থান৷ বাম ও বিজেপি রুখতে এবং দ্বিতীয় স্থানের গত ২৪ বছরের ট্রেডিশান ধরে রাখতে তৎপর কংগ্রেস৷ সাংগঠনিক দুর্বলতা, কর্মী স্বল্পতা দূর করে ভোটের ময়দানে বামেদের বিরুদ্ধে অবাম ও অ-বিজেপি জোটের পথে এগুচ্ছে কংগ্রেস৷ ত্রিপুরাতে এক প্রকার সাইনবোর্ডের সমপর্যায়ে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস এবং উপজাতি ভিত্তিক আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে মহাজোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন কংগ্রেস৷ ১৯’র লোকসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মমতা ও সোনিয়া জোটের পথে অগ্রসর হচ্ছে বলেই খবর৷ সাংগঠনিক শক্তির উপর ভিত্তি করে তৃণমূল এবং কংগ্রেস বামেদের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই করতে দু দলের শীর্ষ নেতাদের একপ্রস্থ বৈঠক শেষ করে নিয়েছেন দিল্লীতে৷ বিশ্বস্থ সূত্রের খবর গুজরাট এবং হিমাচলের ফলাফলের উপর ত্রিপুরার জোট কিংবা নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন হাইকমান্ড৷ কলকাতা তপসিয়া ভবন এবং এ আই সি সি সূত্রের খবর দুই রাজ্যে কংগ্রেস ভালো ফলাফল করলে জানুয়ারী মাসে রাহুল ও মমতা এক মঞ্চে জোটের প্রচরে অংশগ্রহণ করবেন৷ দলীয় প্রার্থীদের আসন বন্টন, নির্বাচনী এজেন্ডা, নির্বাচনী ইস্তেহার রুপায়নে চরম সীমান্ত গ্রহন করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়৷ কলকাতার পরিবর্তনের কারিগর মতাকে সামনে রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে ময়দানে নামবে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোটের নেতারা৷ রাজ্যে ক্রমবর্ধমান বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে মমতার স্বচ্ছ ইমেজকে কাজে লাগানো হবে৷ ত্রিপুরার বহু উত্থান পতনের স্বাক্ষী বিবেকানন্দ ময়দানে মমতা ও রাহুল গান্ধীর সমাবেশের মধ্য দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে এক নতুন দিশা দেখানো ন্ডহন্েব৷ সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিজয়রথ আটকাতে জাতীয় রাজনীতির ময়দানে মমতাকে জোটের প্রোজেক্ট করতেই ত্রিপুরা থেকে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোটের জন্য অগ্রসর হচ্ছে৷ ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার বদলের স্বপ্ণ বাস্তাবায়ন করতে পারলে বড়সড় ধাক্কা খাবে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস৷ জাতীয় রাজনীতিতে শিবরাত্রির শলতে বাতির মতো জ্বলতে থাকা কমিউনিস্টদের বিদায় কংগ্রেসের মূল লক্ষ্য নয়৷ লক্ষ্য একটাই বিজেপির উত্থান রুখা৷ রাজ্যে সরকার বদলের জন্য অবাম সমস্ত দল জোট না করলে সরকার দল অসম্ভব সহজেই আনুমেয়৷ গত বিধানসভা নির্বাচনের কংগ্রেসের প্রায় সংরক্ষিত ৪৬ শতাংশ ভোট বিভাজন হয়েছে৷ শাসক দলের ভোট ব্যাঙ্কে এখনো থাবা বসাতে পারেনি বিজেপি কংগ্রেস কেউ৷ রাজনৈতিক রসায়নে বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের জোটের প্রচারে রাহুল ও মমতাকে নিয়ে জোটের প্রচার ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারবে কি? নাকি ভোট বিভাজনে বাজিমাত করবে শাসক শিবির তাকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন৷
2017-12-11