নয়াদিল্লি, ১০ ডিসেম্বর (হি.স.) রাজস্থানে নিহত বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা মুক্তার আব্বাস নাকভি। এই হত্যাকাণ্ডটিকে লাভ জিহাদের তকমা না দিয়ে নিছক অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ড হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন তিনি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। বিষয়টিকে ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করা ঠিক হবে না। এই ঘটনাটিকে অপরাধমূলক ঘটনা হিসেবেই বিবেচনা করা উচিত। রাজ্য সরকার এই ঘটনায় জড়িত অপরাধীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।’ কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী দাবি করেছেন কিছু অসুস্থ মানুষ সামাজে রয়েছে যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি কলুশিত করতে চাইছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরে শনিবার রাজস্থানে হিংসার বলি আফরাজুলের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায় রাজস্থান সরকার। শনিবার নিহত শ্রমিকের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করল সে রাজ্যের প্রশাসন। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আফরাজুলের পরিবার তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য রাজস্থান সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি এটি সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ড কিনা তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউবে এক ভিডিও পোস্ট করা হয়। যেখানে পশ্চিমবাংলার মালদা জেলার বাসিন্দা পেশায় শ্রমিক আফরাজুলকে কুপিয়ে খুন করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গোটা হত্যাকাণ্ডের ভিডিও রেকর্ডিং করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেওয়া হয়। এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শম্ভুলাল রেগাকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ।
বিগত ২০ বছর ধরে শ্রমিকের কাজ করত আফরাজুল। কাজ দেওয়ার নাম করে তাকে জঙ্গলে নিয়ে যায় শম্ভুলাল রেগা। সেখানে তাকে কুপিয়ে ও পরে পুড়িয়ে খুন করে শম্ভুলাল। আফরাজুলের মেয়ে রেজিনা হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ফাঁসির সাজা দাবি করে।