নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ ডিসেম্বর ৷৷ অবশেষে ত্রিপুরা বিধানসভা বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, আশিষ কুমার সাহা, দিবাচন্দ্র রাঙ্খল, দীলিপ সরকার, প্রণজিৎ সিং রায় এবং বিশ্ববন্ধু সেনকে বিজেপি বিধায়ক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ শুক্রবার ত্রিপুরা বিধানসভা ৬ বিধায়ককে বিজেপি বিধায়কের স্বীকৃতি বিষয়টি জানিয়েছে৷
বিধানসভা শীতকালীন অধিবেশনে বিজেপি বিধায়ক হিসেবে স্বীকৃতির দাবীতে ৬ বিধায়ক অধিবেশনে তুমুল হৈ হট্টগোল করেছিলেন৷ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অসংবিধানিক কাজের অভিযোগ এনেছিলেন তাঁরা৷ অধ্যক্ষ তাঁদের জানিয়ে ছিলেন সময় মতো বিজেপি’র বিধায়কের স্বীকৃতির দাবী জানানো হয়নি৷ ফলে, সময়ের অভাবে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগেই ৬ বিধায়ককে বিজেপি বিধায়ক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ এই ইস্যুতে হট্টগোলের জেরে বিধানসভা অধিবেশন মুলতুবি করতে হয়েছিল অধ্যক্ষের৷
শুক্রবার বিধানসভা সচিব এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন গত ৮ নভেম্বর বিজেপি বিধায়ক হিসেবে স্বীকৃতির দাবীতে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, দীলিপ সরকার, দিবাচন্দ্র রাঙ্খল, আশিষ কুমার সাহা, প্রণজিৎ সিং রায় এবং বিশ্ববন্ধু সেন আবেদন জানিয়ে ছিলেন৷ বিধানসভার অধ্যক্ষ সংবিধানের দশম তপশীল মোতাবেক ৬ বিধায়কের তূণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি মঞ্জুরী দিয়েছেন৷ বিধানসভার অধ্যক্ষ ৬ বিধায়কের জমা দেওয়া সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে সন্তুষ্ট হয়েছেন৷ তাই তিনি ৬ বিধায়কের আবেদনের মঞ্জুরী দিয়েছেন৷ ৬ বিধায়ককে শুক্রবার থেকেই বিজেপি বিধায়ক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে৷
এই বিষয়ে বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা বলেন, সংবিধানের দশম তপশীলের প্যারা ৪(২) ক্ষমতাবলে দুই তৃতীয়াংশ বিধায়ক এক সাথে দল পরিবর্তন করতে পারেন৷ কিন্তু, ৬ বিধায়ক অর্থাৎ সকলে একত্রে অধ্যক্ষের কাছে স্বশরীরে হাজিরা দিয়ে সাক্ষর করে ঘোষণা দিয়েছিলাম বিজেপি বিধায়ক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য৷ কিন্তু, অধ্যক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিতে ১ মাস সময় নিয়েছেন৷ অধ্যক্ষের এই ভূমিকায় বিধায়ক শ্রী সাহা বলেন, বিধানসভা অধ্যক্ষ শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে চলছেন৷ তাঁর যুক্তি, জীতেন সরকারের বিধায়ক পদে পদত্যাগ অধ্যক্ষ দুই ঘন্টার মধ্যেই গ্রহণ করে নেন৷ কিন্তু, ৬ বিধায়কের বিজেপি বিধায়ক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে তিনি ১ মাস সময় নিয়েছেন৷
2017-12-10