নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ ডিসেম্বর৷৷ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্য রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ৬৯ টি থানা ঘেরাও
কর্মসূচী করেছেবিজেপি৷ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সমস্ত মন্ডলের কার্যকর্তারা থানা ঘেরাও ও ধর্নায় বসেন স্ব-স্ব কেন্দ্রের থানার সামনে৷ মঙ্গলবার ৮ টাউন বড়দোয়ালী মন্ডলের উদ্যোগে নেতাজী সুকল মাঠ প্রাঙ্গণে থেকে সু-বিশাল মিছিল নিয়ে পশ্চিম থানার সামনে ঘেরাও করেছেন কার্যকর্তারা৷ নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা প্রদেশে বিজেপি সহ সভাপতি রামপ্রসাদ পাল প্রমুখ৷ পশ্চিম থানার সামনে ধর্না ও ঘেরাও আন্দোলন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করেন দলের প্রদেশ সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব৷
পুলিশ প্রশাসনকে লাল চশমা খোলার দাবি জানিয়েছেন বিপ্লব কুমার দেব৷ তাঁর অভিযোগ দুজন সাংবাদিক নৃশংস খুন বামফ্রন্ট শাসনে৷ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সিবিআই তদন্ত প্রদানে ভয়ের কারন মুখোশ খসে পড়বে৷ সাংসদ ঋর্ণা দাস বৈদ্য অগণতান্ত্রিকভাবে বিজেপি’কে হুমকি দিচ্ছেন৷ আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী গড়িমসি করলে জনতাকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক অবরোধ গড়ে তোলা হবে৷ রক্ত ঝড়িয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবীর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন শ্রীদেব৷
পূর্ব থানা ঘেরাও আন্দোলনে নেতৃত্বে ছিলেন প্রদেশ সহ সভাপতি সুবল ভৌমিক৷ পূর্ব থানা ঘেরাও করে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তিনি৷ গত ৩ বছরে রাজ্যে বিজেপি উত্থানে মেলারমাঠে ভয়ে তটস্থ৷ ১৮’র নির্বাচনে পদ্ম ফুটবে নিশ্চিত দাবী করেছেন শ্রী ভৌমিক৷ আমতলী থানা ঘেরাও করে শান্তিপূর্ণ কার্যকর্তাদের বাধাদান করতেই আন্দোলনের ঝাঁচ বাড়িয়েছেন ১৮ সূর্যমনিনগর মন্ডলের নেতৃত্বরা৷ সদর জেলা সভাপতি মানিক দাস, রাজ্য সম্পাদক তাপস মজুমদার, সদর যুব মোর্চার আরবানের নেতা শুভ্রজিৎ ভৌমিক থানা ঘেরাও কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছেন৷ চান মোহন ত্রিপুরা, গৌরহরি মলসুমদের মতো দলীয় কার্যকর্তাদের হত্যার প্রতিশোধ গণতান্ত্রিকভাবে বিজেপি চাইবে বলে দাবি করেছেন সদর জেলা সভাপতি মানিক দাস৷ বামেদের শাসনে গণতন্ত্রের হত্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মানিক দাস৷ অনুরূপ কর্মসূচীর অঙ্গ হিসাবে এন সি সি থানা, রামনগর ফাঁড়ি, কলেজটিলা ফাঁড়ি, শ্রী নগর থানা, নরসিংগড় থানা সহ সদরের সমস্ত থানাগুলিতে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মন্ডলের কার্যকর্তারা৷ বিধানসভা ভোটের মুখে আইন শৃঙ্খলা অবনতিতে রাজ্যব্যাপী বিজেপি’র থানা ঘেরাও সরকারকে চাপে ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ এদিকে, রাজ্যের সবগুলি থানাতেই এদিন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ঘেরাও আন্দোলন সংগঠিত করেছে৷
এদিকে, ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী আজ সকাল ১১টা থেকে খোয়াই জেলার ৫টি থানা ঘেরাও করে বিজেপির কর্মীরা৷ শুরুতে প্রতিটি দলিয় কার্যালয় থেকে মিছিল ৫টি থানা এলাকা পরিক্রমা করে থানা ঘেরাও করে৷ খোয়াই থানার অমিত রক্ষিৎ এর নেতৃত্বে, চাম্পাহাওর থানা মনুজ দাসের নেতৃত্বে, কল্যাণপুর থানা জীতেন সরকারের নেতৃত্বে, মুঙ্গিয়াকামী থানা বিকাস দেববর্মার নেতৃত্বে এবং তেলিয়ামুড়া থানা কল্যানি রায়ের নেতৃত্বে, দীর্ঘ ২ ঘন্টা ঘেরাও করে রাখা হয়৷ প্রতিটি থানার পর্যাপ্ত পরিমানে টিএসআর ও পুলিশ ছিল৷ এই থানা ঘেরাও করার জন্য বিজেপির মূল দাবি হল আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি শাসন দিতে হবে৷ ৫টি থানা ঘেরাও এ মোচ চার হাজার বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়৷