সোনামুড়া মহকুমার বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকায় বাড়ছে অপরাধ, বিএসএফের ভূমিকায় ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ৪ ডিসেম্বর৷৷ আমাদের পূর্বসুরী দের মুখ থেকে প্রায়ই কথাটি শুনে থাকি বেড়া যদি ক্ষেত খায় তাহলে আর বেড়া দিয়ে লাভ কি? সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে অত্যন্ত মূল্যবান প্রবাদ বাক্যটি মহান উত্তরসুরীদের ভাবনার ইতিহাস তার বাস্তব রূপ ধারণ করছে৷ রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নিজের দেশকে রক্ষা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করছে সীমান্ত প্রহরীদের জন্য৷ আজকাল দেখা যাচ্ছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী পাচার বানিজ্য এবং অনুপ্রবেশ ঘটছে তাদের মদতেই৷ সোনামুড়া মহকুমার গোটা বক্সনগর অঞ্চলে এখন পাচার বানিজ্য রমরমা৷
গোপন সংবাদ সূত্রে জানা যায় অনুপ্রবেশ এবং পাচার বাণিজ্যের রমরমা এক মাত্র সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কারণে৷ মোটা অংকের টাকা উৎকোচের বিনিময়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পাচার বানিজ্য অবাধে চলছে৷ নেই কোন বিএসএফ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা৷ পাচারকারীর দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির ফলে রাস্তা দিয়ে চলা ফেরা করা খুবই বিপদজনক৷ সব চাইতে ক্ষতি করছে গরু পাচারে ব্যবহৃত গাড়ী এবং বাইক পাচারকারীরা৷ এপার থেকে গরু, বাইক, গাঁজাসহ নেশা সামগ্রী, কাপড়, মোটর পার্টস, ইলেকট্রিক সাজ সরঞ্জাম, ফেন্সীডিল আরো অনেক পণ্য সামগ্রী পাচার হচ্ছে৷ ওপার থেকে মাছ, সবজি, মটর ডাল, হেচারী ইত্যাদি৷ সীমান্তে রয়েছে ৭৪ নং ব্যাটেলিয়ান প্রহরীর দায়িত্বে৷ তাদের সঙ্গে রফা করেই এপার ওপার হচ্ছে পাচার সামগ্রী৷ রাড়ছে অপরাধ, গরু চুরি৷ পাচার করার পদ্ধতি পাল্টিয়েছে৷ সিড়ি বানিয়ে গরু গুলির পা বেঁধে ওপরের দিকে উঠিয়ে এপার থেকে ছুড়ে দেয় এবং ওপারের লোকেরা নিয়ে নেয়৷ বিগত ৫/৭ দিন ধরে কালীমুড়া ও আশেপাশের এলাকায় কার্লভার্টের নিচে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে লোক আসা যাওয়া করছে৷ বাইক পাচার করা হয়৷ তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে গোটা বক্সনগর এখন পাচার মাফিয়াদের হাতেয প্রশ্ণ উঠছে বিএসএফ এবং প্রশাসনের ভূমিকায়৷ এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিন খুবই ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করবে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের দাবি৷ সোমবার ভোররাত্রে বক্সনগর সীমান্ত এলাকা থেকে একটি কেটিএম বাইক উদ্ধার করা হয়েছে৷ কলমচৌড়া, বক্সনগর, রহিমপুর, কলুবাড়ী, বাতাদোয়া, মতিনগর ইত্যাদি এলাকা দিয়ে পাচার বাণিজ্য হচ্ছে রমরমা৷ সীমান্ত রক্ষীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ণ উঠেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *