রাজ্যের উপজাতিদের বঞ্চনার তথ্য দিল্লীতে তিন মন্ত্রীকে দিল বিজেপি জনজাতি মোর্চা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ ডিসেম্বর৷৷ শনিবার দিল্লিতে ভারতীয় জনতা পার্টির ত্রিপুরা প্রদেশের জনজাতি মোর্চার একটি প্রতিনিধি দল রাজ্য প্রভারী সুনিল দেওধরের নেতৃত্বে জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী জুয়েল ওরাম, উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের রাজ্যমন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাজ্য মন্ত্রী কিরন রিজিজুর সাথে সাক্ষাৎ করেন৷ সুনিল দেওধর ছাড়াও এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রামপদ জমাতিয়া, দেবব্রত কলই, সঞ্জয় জমাতিয়া, বিমল চাকমা অশোক দেববর্মা, ভৃগুরাম রিয়াং৷ এই প্রতিনিধিদল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ করে ত্রিপুরায় জনজাতিদের চরম অবহেলার হাল তোলে ধরার পাশাপাশি একটি স্মারমলিপিও তাদের হাতে তোলে দেন৷ বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই স্মারকলিপিতে ত্রিপুরায় ষষ্ঠ তপশিলী মোতাবেক স্টেট কাউন্সিলের দাবী জানানো হয়৷ যেখানে এই কাউন্সিলকে সরাসরি অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়৷ পাশাপাশি স্টেট কাউন্সিল গঠন হওয়া পর্যন্ত বর্তমান স্বশাসিত জেলা পরিষদকে যাতে সরাসরি অর্থ প্রদান করাহয় সেই বিষয়েও দাবী রাখা হয়েছে৷ পাশাপাশি জনজাতি মানুষদের রক্ষণের জন্য ল্যান্ড সার্ভে ও স্যাটেলমেন্টের দাবীও রাখা হয়েছে৷ এই স্মারকলিপি পেয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু তার যুক্তিযুক্ততা স্বীকার করে নেন এবং এই বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন৷ তাছাড়া জীতেন্দ্র সিং বলেন, আগেও এই বিষয়ে বিজেপি ত্রিপুরা তরফ থেকে দাবী জানানো হয়েছে এবং তিনি নিজে যেহেতু ত্রিপুরা সফর করেছেন এবং এখানকার জনজাতিদের দুর্দশার চিত্র দেখেছেন তাই এই দাবীর যে যুক্তিকতা রয়েছে এই বিষয়টি তিনি মেনে নেন৷ পাশাপাশি তিনি জানান এই বিষয়ে আগে রাজ্যকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে৷ কিন্তু তারপরও যেহেতু তিনি প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের রাজ্য মন্ত্রী তাই এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন৷ জনজাতি কল্যান মন্ত্রী জুয়েল ওরাম এই বিষয়ে বলেছেন তিনি এই বিষয়গুলি নিয়ে অবশ্যই নিয়ে অবশ্যই কথা বলবেন৷ রাজ্যে ২৫ বছরের বাম শাসনে জনজাতিদের জীবনে চরম দুর্দশা নেমে এসেছে৷ যার দরুণ স্বশাসিত জেলা পরিষদ গঠন হলেও জনজাতিদের জীবনে তার কোন লাভ পাওয়া যায়নি৷ তাছাড়া ত্রিপুরায় কেবলমাত্র একটি অঞ্চল বা জেলাতে জনজাতিরা বসবাস করেনা সমগ্র ত্রিপুরাতেই তাদের উপস্থিতি আছে৷ তাই এখানে স্বশাসিত জেলা পরিষদের বদলে স্টেট কাউন্সিলের দাবী অনেক বেশী যুক্তিযুক্ত এবং এই স্টেট কাউন্সিলকে যাতে কাজের ক্ষেত্রে অর্থের জন্য রাজ্য সরকারের দিকে চেয়ে থাকতে না হয় তার জন্য সরাসরি কেন্দ্র থেকে অর্থ প্রদানের দাবীও রাখা হয়েছে৷ তাছাড়া যেভাবে ত্রিপুরায়্য জনজাতি নেতাদের হত্যা করা হচ্ছে এবং ৩ দিন আগেও জনজাতি নেতা গৌহর হরি মলসমের হত্যা হয়েছে তা এদিনের সাক্ষাতে আলোচনা হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *