নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ ডিসেম্বর৷৷ রাজ্যসভায় ত্রিপুরার সাংসদ ঝর্ণা দাস পাল বৈদ্যের একটি ভাষণকে কেন্দ্র করে বিজেপি তীব্র প্রতিবাদ করেছে৷ একই সাথে ঝর্ণা দাস পাল বৈদ্যের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির অভিযোগ শাসক দল নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে এসব বক্তব্য রাখছেন৷ সাংসদ করবুকে সিপিএমের একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির নাম উল্লেখ করে কুরুচিকর মন্তব্য করেন৷ পাশাপাশি তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে উস্কানীমূলক মন্তব্য করেছিলেন এই বলে যে, নির্বাচনের পরে ফেব্রুয়ারীতে ভোটের পর মন্ত্রিসভা গঠনের আগে বিরোধীদের কড়ায় গন্ডায় হিসাব নেবেন৷ এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির তরফ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে বলেছে, রাজ্য জুড়ে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতির জন্য যে শাসকদলই সম্পূর্ণভাবে দায়ি তা একেবারে অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ করলেন কমিউনিস্ট নেত্রী তথা সংসদ সদস্যা ঝর্ণা দাস পাল বৈদ্য৷ গোমতী জেলার করবুকে একটি জনহীন প্রায় দলীয় সভায় বক্তব্য রাখার সময় তিনি যেভাবে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গী করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি কর্মীদের কড়ায় গন্ডায় দেখে নেবার হুমকি দিয়েছেন তাতে রাজ্য অতীতের সমস্ত নির্বাচনের সন্ত্রাসে সিপিএমের যুক্ত থাকার অভিযোগেই স্বীকৃতি দিলেন৷ শ্রীমতি বৈদ্য, বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা নিন্দারও অযোগ্য৷ এ সমস্ত নোংড়া মন্তব্যের মাধ্যমে সিপিএম নেতারা বিজেপি কর্মীদের মনোবল ভাঙ্গার পরিবর্তে আরো উজ্জীবিত করবে৷
এদিকে কমিউনিস্ট ক্যাডারদের পরিকল্পিত আক্রমণে গৌরহরি মলসুমের নিহত হওয়া এবং রাজ্য বিরাজমান অস্থির এবং অতঙ্কজনক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি শাসন দাবি উত্থাপনের পরপরই কিছুদিন আগে অপহৃত চার ব্যাঙ্ককর্মীর মুক্তি রাজ্য সরকার এবং শাসকদল সম্পর্কে জনমনের সন্দেহ সত্যে পরিণত হয়৷ জনগণ এটা বিশ্বাস করছেন যে অপহরণ কান্ডের সঙ্গে সেই রাজনৈতিক শক্তি জড়িত যে দল ১৯৮০ সালের দাঙ্গা এবং পরবর্তী সময়ে সংগঠিত উগ্রবাদী কার্যকলাপের একমাত্র বেনিফিসিয়ারী৷ জনজীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে ক্ষমতা ভোগে ডুবে থাকা সর্বহারা বিপ্লবীদের এবার উচিৎ শিক্ষা দেবরা জন্য জনতা প্রস্তুত হয়ে আছেন৷ গৌরহরি মলসুমের হত্যাকান্ড, নতুন করে অপহরণ বাণিজ্য শুরুর চেষ্টা এবং নির্বাচনের পরে বিজেপি কর্মীদের দলে নেওয়ার হুমকি এবার কোন কাজেই আসবেনা৷ এর আগে ইভিএম মেশিনেই মানুষ তাদের ভবিষ্যতের ব্যবস্থা করে ফেলবেন৷
2017-12-02