নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ ডিসেম্বর৷৷ আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিলোনীয়া মহকুমার রাজনগর ব্লকের চোত্তাখোলায় গড়ে ওঠা ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে৷ আজ সকালে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠাণকে বার্র্ণঢ্য রূপ দিতে একটি প্রস্তুত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ এই প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক সি কে জমাতিয়া৷ কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে আছেন রাজনগরের বিধায়ক সূধন দাস ও বিলোনীয়ার বিধায়ক বাসুদেব মজুমদার, দক্ষিণ জেলার পুলিশ সুপার, রাজনগর সহ মহকুমার অন্যান্য পঞ্চায়েত সমিতির চেয়রাম্যানগণ এবং বন, পূর্ত, হর্টিকালচার, গ্রামোন্নয়ন, বিদ্যুৎ, তথ্য ও সংসৃকতি প্রভৃতি দপ্তরের পদস্থ আধিকারিগণ৷ আগামী সোমবার অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী বাদল চৌধুরী ও মুখ্যসচিব সঞ্জীবরঞ্জনের উপস্থিতিতে বিলোনীয়ায় এই প্রস্তুতি কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে৷ রাজনগর ব্লকস্থিত চোত্তাখোলায় ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী উদ্যান গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে৷ সে বছরের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশের তদানীন্তন বিদেশমন্ত্রী দীপুমণি এই মৈত্রী উদ্যানের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন৷ সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন পূর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী এবং রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরীও৷ চোত্তাখোলায় আজ যেখানে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান গঢ়ে উঠেছে তা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই স্থান৷ এই মৈত্রী উদ্যানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনাবলী, মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরায় আগত শরণার্থী প্রভৃতি বিষয় ম্যারালের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ ম্যারালগুলি তৈরী করেছেন আগরতলা সরকারী চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরা৷ মৈত্রী উদ্যান স্থাপিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দুটি পূর্ণবায়ব মূর্তি৷ এছাড়াও স্থাপিত হয়েছে স্মৃতি-স্মরাকস্তম্ভ৷ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে বিভিন্ন স্মারক ও স্থাপিত হয়েছে এই উদ্যানে৷ পুরো উদ্যানটিকে বাহারী গাছপালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে৷ পর্যটকদের ঘুরে দেখার জন্য তৈরী করা হয়েছে বাহারী টাইলসে ছাওয়া রাস্তা৷ আছে বড়বড় জলাশয়, ঝুলন্ত সেতু৷ বন, পূর্ত, হর্টিকালচার, গ্রামোন্নয়ন, বিদ্যুৎ প্রভৃতি দপ্তরের নিরলস প্রচেষ্টায় তিলে তিলে সেজে উঠেছে চোত্তাখোলার ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান যা এখন উদ্বোধনের প্রহর গুণছে৷ ইতিহাসের স্মৃতিবিজড়িত এই মৈত্রী উদ্যান নিঃসন্দেহে ত্রিপুরার পর্যটনের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠবে আগামীদেন৷ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের পৌরহিত্যে আজ মহাকরণে আয়োজিত এই সম্পর্কিত সভায় উপস্থিত ছিলেন পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী বাদল চৌধুরী, বন দপ্তরের মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া, বিধায়ক সূধন দাস, মুখ্যসচিব সঞ্জীবরঞ্জন, প্রধান সচিব এল কে গুপ্তা, সচিব শান্তুনু, মুখ্য বনপাল এ কে গুপ্তা, দক্ষিণ জেলার জেলাশাসক সি কে জমাতিয়া এবং বন পূর্ত গ্রামোন্নয়ন প্রভতি দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ৷
2017-12-02