নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ নভেম্বর৷৷ সাংবাদিক সুদীপ দত্তভৌমিক এবং শান্তনু ভৌমিক হত্যর সিবিআই তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেন রিজিজু, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, সুপ্রিম কোর্টের মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রা এবং প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান জাস্টিস সি কে প্রসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রাজ্যের সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল৷ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ত্রিপুরা নিউজপেপার সোসাইটির চেয়ারম্যান সুবল কুমার দে৷
বৃহস্পতিবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রী জানান, জয়েন্ট ফোরাম অব জার্নালিস্টস রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রয়াত সাংবাদিক সুদীপ দত্তভৌমিকের পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা সহায়তা করায় সন্তুষ্ট নন৷ ফোরাম দাবী করেছিল এক কোটি টাকা দেওয়ার জন্য৷ কিন্তু, রাজ্য সরকার নিহত গাড়ী চালক জীবন দেবনাথের পরিবারকে যেমন দশ লক্ষ টাকা দিয়েছে, অনুরূপ সাংবাদিক সুদীপ দত্তভৌমিকের পরিবারকেও দশ লক্ষ টাকা সহায়তা করেছে৷
সুবলবাবু গত মঙ্গলবার ত্রিপুরা হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি টি ভাইফেই এর কাছে দাবী জানিয়েছিলেন যাতে সাংবাদিক সুদীপ দত্তভৌমিক ও শান্তনু ভৌমিক হত্যা মামলার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য৷ যাতে দ্রুত এই নির্দেশ দেওয়া হয় কারণ এই হত্যাকান্ডগুলির প্রমাণ লোপাট যাতে না করে দেওয়া হয়৷
অন্যদিকে, রাজ্যের সাংবাদিকদের উপর সরকারী নিয়ন্ত্রণ দৃঢ় করতে রাজ্য সরকার এক অভূতপূর্ব পরিকল্পনা নিয়েছে৷ রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ তীব্র নিন্দা করেছে ত্রিপুরা সাংবাদিক সংগঠন গুলি৷ রাজ্যের সাংবাদিক সংগঠন গুলি যৌথ মঞ্চের পক্ষে প্রণব সরকার এবং দেবাশিষ মজুমদার এদিন জানিয়েছেন, সাংবাদিকদের সরকারী স্বীকৃতি পত্র দেওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন ছিল৷ তাই প্রেস কাউন্সিল অপ ইন্ডিয়া একটি নির্দেশিকা পাঠায় রাজ্য সরকারকে নিয়মনীতি সংশোধনের জন্য বলে, কিন্তু রাজ্য সরকার এর পরিপ্রেক্ষিতে আরও কালা ব্যবস্থা নিয়ে এসেছে৷ এখন সরকারী স্বীকৃতি পত্র দেওয়ার জন্য কমিটি গঠন করলে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে কাদের কমিটিতে রাখা হবে আর কাদেরকে রাখা হবে না৷ সংগঠন গুলির প্রতিনিধিত্বের কোন এক্তিয়ার থাকছে না৷ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাংবাদিক সংগঠন গুলির যৌথ মঞ্চ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাবার হুমকিও দিয়েছে৷
2017-12-01