নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ নভেম্বর৷৷ ১৮’র ভোটের মুখে ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের কর্মচ্যুতি ইস্যুতি গলায় কাটা হয়ে বিধছে সরকারের৷
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস ভেস্তে যেতেই রাস্তায় নামলো চাকরীচ্যুতরা৷ তারা এদিন মহকারণ অভিযান করেছে৷ কর্মচ্যুত শিক্ষকদের দু ভাগে ভাগ করা, সুপ্রিম কোর্টে চাকরী এক বছর বাড়ানোর আশ্বাস কার্যকরী ফল দিতে পারেনি বিদ্রোহ আটকাতে৷ আন্দোলনকারীদের এক প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন৷ সাক্ষৎকালে তারা রাজ্য সরকারের কাছে দাবী জানান ভেলিডেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য৷ এনিয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের সাথে আলোচনা করেন৷ রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের তরফে যে দাবী উঠেছে ভেলিডেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য, তা নিয়ে এই মুহুর্তে কিছু বলা সম্ভব নয়৷ কারণ যেহেতু শিক্ষকদের চাকুরীচ্যুতি সংক্রান্ত মামলাটি বিচারাধীন বিষয় হয়ে রয়েছে৷ তবে রাজ্য সরকারের এডভোকেট জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্টের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে৷
বৃহস্পতিবার বিকল্প কর্মসংস্থানে সরকারের মৌনব্রত ভাঙতে মহাকরন অভিযান সংগঠিত করেছেন কর্মচ্যুত শিক্ষকরা৷ বাতিল শিক্ষকতার চাকরীর জন্য সরকারকে দায়ী করে বিক্ষোভে উত্তাল শহর৷ সার্কিট হাউস পৌঁছতেই সু-বিশাল পুলিশ আটক দিয়েছে আন্দোলনকারীদের৷ কাদান গ্যাস, বিশাল টি এস আর ও পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়৷ আন্দোলনকারীদের ১টি প্রতিনিধি দল মহাকরনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চাকরীচ্যুতদের জন্য সরকারের দৃঢ় পধক্ষেপের দাবী জানিয়েছেন৷ আইনজীবিদের একটি মহল চাকরী নিয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন৷ সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করে নিয়োগ সংক্রান্ত বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে বলে দাবী করছেন একাংশ আইনজীবী৷ ৩১ শে ডিসেম্বর চাকরী বাতিল এই শোকে বহু শিক্ষক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন৷ ৭ দিনের মধ্যে বিচারপতিদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহনে মুখ্যমন্ত্রীর সদর্থক ভূমিকা নিয়ে গড়িমসি করলে আন্দোলন তেজী করবে বলে ও সরকারকে এক প্রকার হুশিয়ারী দিয়েছেন কর্মচ্যুত শিক্ষকরা৷ এদিকে, চাকুরীচ্যুত শিক্ষকরা ভাগ হয়ে গিয়েছে৷ অনেকেই রাজ্য সরকারের উপর আস্থা রেখেছেন৷ আবার অনেকেই আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন৷