সাংবাদিক সুদীপ খুনের মহড়া দিল ধৃত টিএসআর জওয়ানরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ নভেম্বর৷৷ সাংবাদিক সুদীপ দত্ত ভৌমিকের হত্যাকান্ডের এক সপ্তাহ পর ঘটনাস্থলে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট৷ সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অভিযুক্ত কমান্ডেন্টের দেহরক্ষী নন্দকুমার রিয়াংকে৷ সেখানে ডিসিএম দিলীপ সরকারের সামনে খুনের সময় ঠিক কী হয়েছিল তা দেখানোর চেষ্টা করে নন্দকুমার৷
নন্দকুমারে উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছেন, সেদিন কমান্ডেন্টের তরফে পর পর দুবার সুদীপকে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ শেষ মুহুর্তে অমিত দেববর্মা রীতিমতো তাকে বাধ্য করে সাংবাদিকের উপর গুলি ছুঁড়তে৷ নন্দকুমারের বিবরণ অনুযায়ী, প্রথমবার শুট করার নির্দেশ দেওয়ার পর ধর্মেন্দ্র সিং এবং অমিত দেববর্মা সাংবাদিককে ধরে প্যারেড গ্রাউন্ডে নিয়ে যায়৷ সেখানে যাওয়া পর্যন্ত সাংবাদিক বাঁচার জন্য তেমন কোনও চেষ্টা করেননি৷ তাঁর দাবি সাংবাদিক প্রথমে বুঝেই উঠতে পারেননি সত্যি সত্যিই তাঁকে শুট করা হবে বলে৷
কিন্তু প্যারেড গ্রাউন্ডে নিয়ে কমান্ডেন্টের কাছে দ্বিতীয়বার অর্ডার চায় জওয়ানরা৷ তখন অমিত দেববর্মাকে সিও জানান শুট করতেই হবে৷ সিও-র দ্বিতীয়বারের নির্দেশ পেয়ে অমিত নিজে নন্দকুমারের উপর চাপ দেয় সাংবাদিককে গুলি করতে৷ শেষ সময়ে সাংবাদিক ঘটনা বুঝতে পারলেও তাঁকে ঝাপটে ধরে রেখেছিল অমিত দেববর্মা এবং ধর্মেন্দ্র সিং৷ সেখানে পর পর দুটি গুলি করে সাংবাদিকের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়৷ সূত্রের দাবি, প্রায় এক ঘন্টা সময় নন্দকুমার কোথায় কী হয়েছে তার বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করে৷
পরে তাকে ফের পুলিশি লকআপে নেওয়া হয়৷ কিন্তু এর পরও ঘটনার তদন্ত নিয়ে ধোঁয়াশা ঠেকেছে অনেকের কাছে৷ কারণ আগেই পুলিশ জানিয়েছিল, সাংবাদিককে সিও-এর অফিস থেকে জোর করে মাঠে নেওয়া হয়েছিল৷ তখন বাঁচার জন্য অনেক আর্তচিৎকার করেছিলেন সুদীপ দত্ত ভৌমিক৷