দুঃশ্চিন্তায় অপহৃতদের পরিবার পরিজনরা ব্যাংক বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৯ নভেম্বর৷৷ চারদিন অতিক্রান্ত হয়েছে৷ এখনো হদিশ নেই অপহৃত চার ব্যাংক কর্মচারীর৷ পুলিশ শুধু তদন্তই করে যাচ্ছে৷ তল্লাসী অভিযান চালানো হচ্ছে৷ এদিকে, চরম দুঃশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন অপহৃতদের পরিবারের লোকজন৷ পুলিশের তরফ থেকে শুধু আশ্বাসই দেওয়া হচ্ছে৷ ফল অশ্বডিম্ব৷ অন্যদিকে, তৈদু গ্রামীণ ব্যাংকে বুধবার দুপুরে ব্যাংকের উচ্চপদস্থ চারজন অফিসার তালা খোলে অডিট করে৷ কয়েক ঘন্টা ব্যাংকের যাবতীয় নথিপত্র অডিট করে৷ অনেক গুরুত্ব পূর্ণ নথিপত্র তারা তোলে নিয়ে যায়৷ এদিকে ব্যাংক ভাড়া দেওয়া বিলডিংয়ের মালিক জানান, ব্যাংকের ভিতরে কি হয়েছে তা জানেন না৷ তবে হিসেব নিকাশ নিয়ে হয়তো টানা কয়েক ঘন্টা অডিট করে৷ এদিকে দীর্ঘ কয়েক দিন যাবত ব্যাংক বন্ধ থাকার ফলে ব্যাপক প্রভাব পরে তৈদু সহ পাশ্ববর্তী এলাকা জুড়ে৷ তৈদু বাজারে ব্যাবসায়ী সহ ক্রেতাদের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়৷ এদিকে বৃদ্ধা ভাতা সহ ব্যাংকে টাকা জমানো গ্রাহকরা নানা অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে৷ প্রতিদিন তৈদু এলাকার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শতশত মানুষ ব্যাংকে আসলেও পরিষেবা না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ী ফিরতে হচ্ছে৷
প্রসঙ্গত, তৈদু-তেলিয়ামুড়া সড়কের জঙ্গল এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তৈদু গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার তন্ময় ভট্টাচার্য, ডেপুটি ম্যানেজার রক্তিম ভৌমিক, ক্যাশিয়ার সুজিত দেব এবং গ্রুপ ডি কর্মী সুব্রত দেববর্মা৷ নিখোঁজ হওয়ার আটচল্লিশ ঘন্টার পর ধলাই জেলার আমবাসা পুলিশ সুপার ও জেলা শাসকের কোয়াটারের মাঝামাঝি স্থান থেকে উদ্ধার হয় ম্যানেজার তন্ময় ভট্টাচার্যের টিআর ০১ এইউ ০২৩০ নম্বরের মারুতি সেলেরিউ গাড়িটি৷ গাড়ি উদ্ধার হওয়ার তিন ঘন্টার মধ্যে তেলিয়ামুড়া থানার মহারানিপুর জাতীয় সড়কের পাশে উদ্ধার হয় গ্রুপ ডি কর্মী সুব্রত র ব্যবহৃত টিআর ০১ এম ৮১৮৯ নম্বরের সুপার স্পেন্ডার বাইকটিচ৷ প্রশ্ণ উঠেছে, অপহৃতদের ব্যবহৃত বাইক ও গাড়ি প্রত্যক্ষদর্শীদের দ্বারা পুলিশ উদ্ধার করতে পারলেও অপহৃদের এখনও কোন হদিশ নেই কেন৷ তবে পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, চার ব্যাঙ্ক কর্মীকে অপহরণের ছক মাস তিনেক ধরে চলছিল৷ কিন্তু সময়মতো কিছু করে উঠতে পারেনি৷ পুলিশ আরও জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে পুলিশি তল্লাশির অভিমুখ পরিবর্তন করতেই অপহরণকারীরা এই কাজ করেছে৷ কারণ চারজনকে অপহরণ করতে হলে তাদের দিগুণ লোক প্রয়োজন৷ একটি গাড়িতে এত সংখ্যক লোক বসা সম্ভব নয়৷ চারজনকে যদি একই গাড়িতে তোলা হয় তা হলে আর মাত্র দুজনের জায়গা হবে৷ তাও খুব কষ্টে৷ তা হলে দুই অপহরণকারী কখনই চারজনকে অপহরণ করতে পারবে না৷ অপহরণকারীরা চার ব্যাঙ্ক কর্মীকে অপহরণ করে গাড়ি ও বাইক থেকে নামিয়ে জঙ্গলের পথেই নিয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷