নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ নভেম্বর৷৷ রাজ্য সরকারের আইন বহির্ভুত ১০৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরীচ্যুতি ইস্যুতে আন্দোলন ক্রমশ তেজী

হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস ভেস্তে গিয়েছে৷ ১২ হাজার অশিক্ষক নিয়োগ করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ৷ বিধানসভা ভোটের মুখে রাজ্য সরকার বিরোধীদের চাপে পড়ে বেকায়দায়৷ কর্মচ্যুত শিক্ষকদের বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির উপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা এবং কর্মচ্যুতদের চাকরীর মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধির আবেদন জানায় রাজ্য সরকার৷ রাজ্য সরকারের রসিকতার বিরুদ্ধে এবারে রাস্তায় নামেন কর্মচ্যুত শিক্ষকরা৷ সংগঠনকে দুই ভাগে ভাগ করেও কোন লাভ হয়নি৷ সোমবার মহাকরণ চত্বরে কর্মচ্যুত শিক্ষকরা জড়ো হয়ে ৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল মহাকরণে শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করেন৷ নতুন কোন কর্মসংস্থান নিযুক্ত চাকরীর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারের অবস্থানের খোলাসা দাবী করেছেন৷ কর্মচ্যুত শিক্ষকদের দাবী সুপ্রিম কোর্ট চাকরী বাতিল করার পর বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে সরকার মৌনব্রত কেন পালন করছে? এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর নিয়ে সরকারের আবেদন সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত হয়েছে কিনা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট অবস্থান জানাতে হবে৷ ভেলকি দিয়ে সরকার গল্প শুনালেও কর্মচ্যুত শিক্ষকদের আশ্বাস দিতে পারেনি শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী৷ পাশে থাকার কোন কার্যকরী আশ্বাস দেননি৷ ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মচ্যুতরা সার্কিট হাউস গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনে বসবে বলে জানিয়েছেন৷ সরকারের ভুলে রাস্তায় এসেছেন কর্মচ্যুত শিক্ষকরা৷ সরকারকে দুর্নীতিগ্রস্ত তকমা দিয়ে রাস্তায় বসে শিক্ষকরা আন্দোলন করবে বলে কড়া বার্তা দিয়েছেন তারা৷