কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমা দেওয়ার ওপর সুধ কমানোর চিন্তা-ভাবনার

কলকাতা, ২৮ নভেম্বর (হি.স.): কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা দেওয়া টাকার ওপর আবার সুদ কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও) সূত্রের খবর, পূর্ববর্তী বছরের ৮.৮% হারের সুদ ২০১৬–১৭ সালে নামিয়ে করা হয়েছিল ৮.৬৫%। এবার সুদের হার আরও কমিয়ে ৮.৫% করতে চান ফান্ড কর্তৃপক্ষ। তাঁদের যুক্তি, ২০১৭–১৮ সাল থেকে মোট জমা টাকা দু-ভাগ করে ফেলা হয়েছে। ৮৫% টাকা জমা রাখা হচ্ছে কম সুদের বন্ডের মত নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন জায়গায়। বাকি ১৫% রাখা হচ্ছে শেয়ারে বিনিয়োগ করার মতো তহবিলে, যেখানে ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত বেশি। কিন্তু কম সুদেই জমা হওয়া টাকার ৮৫% রাখতে বাধ্য হওয়ায় গ্রাহকদের চলতি হারে সুদ দেওয়া সম্ভব হবে না। তাছাড়া, অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে শ্রম মন্ত্রকের ওপর বেশ কিছুদিন ধরেই চাপ দেওয়া হচ্ছিল, ইপিএফের সুদের হার কমিয়ে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফের সমান করার। সেই চাপের কাছেও নতি স্বীকার করে থাকতে পারেন ফান্ড কর্তৃপক্ষ এবং শ্রম মন্ত্রক।
পিএফে জমা টাকার যে ১৫% শেয়ার বাজারে খাটছে তা কতটা বাড়ল বা কমল তা কীভাবে গ্রাহকদের জানানো হবে ঠিক করতে ফান্ড কর্তৃপক্ষ পরামর্শ নিয়েছিলেন আইআইএম ব্যাঙ্গালোরের। সেই পরামর্শ অনুযায়ী প্রত্যেক আর্থিক বছরের শেষে গ্রাহকদের সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হবে শেয়ারে নিযুক্ত তাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা কী হারে বেড়েছে বা কমেছে। পিএফের টাকা তোলার দরকার হলে গ্রাহকরা নিজেরাই ঠিক করতে পারবেন, তাঁরা ঝুঁকিহীন তহবিল থেকে টাকা তুলতে চান, না শেয়ারে বিনিয়োগ করা তহবিল থেকে।