অপহৃত ব্যাঙ্ক কর্মীদের উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ, সরকারকে চরম সীমা বেঁধে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ে যাচ্ছে বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ শে নভেম্বর৷৷ রাজ্য বিজেপি আবারো মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছে৷ ২৪ ঘন্টার মধ্যে চারজন

রবিবার বিজেপি কার্য্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন৷ ছবি নিজস্ব৷

অপহৃত ব্যাংক কর্মচারীকে উদ্ধার না করা হলে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর সরকারী আবাসন ঘেরাও করবে৷ তাও আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য৷ অপহৃতরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত চলবে ঘেরাও৷ রবিবার বিকেলে বিজেপি রাজ্য কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ৷ এই সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই ২৪ ঘন্টার সময়সীমা শুরু হয়েছে৷
সুদীপবাবু বলেন, তৈদু গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মচারীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে বিজেপি সন্দেহ রয়েছে৷ ৪৮ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়েছে অপহরণের তবে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে আজকের দিনে যখন রাজ্যের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বিবেকানন্দ ময়দানে সিআইটিউ’র সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন তখন তিনি অপহৃত ব্যাংক কর্মচারীদের জন্য একটি লাইন ব্যাবহার করেননি৷ এমনকি সাংবাদিক সুদীপ দত্ত ভৌমিকের হত্যাকান্ডের বিষয়েও তিনি সমাবেশে একটি শব্দ উচ্চারণ করেননি৷ সুদীপবাবু অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে শুধু কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিষেদগার, আরএসএস নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা ছাড়া কিছুই ছিলনা৷ ত্রিপুরাতে জঙ্গল রাজ চলছে বলে অভিযোগ করেন সুদীপ রায় বর্মণ৷ এখানে জনগণের কোন নিরাপত্তা নেই, কোনও গ্যারান্টি নেই৷
ত্রিপুরা পুলিশের সাইবার গোয়েন্দা বিভাগের বিষয়ে সুদীপবাবু বলেন, অপহরণকারীরা অপহৃতদের মোবাইল ফোন নিয়ে বলে জানা গেছে৷ তবে ত্রিপুরার পুলিশ সাইবার গোয়েন্দা সংস্থা ৪৮ ঘন্টারও বেশি সময়ের পরও ট্র্যাক করতে পারছে না৷ এটা রহস্যজনক বলে তিনি দাবি করেন৷ সিআইটিইউ’র সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বর্মণ বলেন, যারা এই সমাবেশে যোগাদন করেছেন তারা কি পেয়েছিলেন? বিরোধী দলকে দোষারোপ করা পাশাপাশি কোনও নতুন এজেন্ডা পেয়েছেন কি তারা? মুখ্যমন্ত্রী বত্তৃণতায় দিয়ে ভুল তথ্য নিয়ে মিথ্যাচারের স্থান ছিল৷ হিন্দু ও মুসলমান উপজাতি ও অজাতীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের এই বক্তব্য৷ বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ আরও বলেন, সিপিআই-এমের ডিএনএ এর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ, সহিংসতা দমন এবং বিভাজনের নীতি৷