নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ নভেম্বর৷৷ বিজেপি আহূত ১২ ঘন্টার ধর্মঘট সার্থক হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি৷ একই সঙ্গে এই ধর্মঘটে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে দল৷ বনধ এর সময়সীমা শেষ হওয়ার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্যের বিশিষ্ট সাংবাদিক সুদীপ দত্তভৌমিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ভারতীয় জনতা পার্টির আজকের ডাকা ১২ ঘন্টার ধর্মঘটে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে পরিলক্ষিত হয়েছে৷ ধর্মগটের আহ্বান বিজেপি করলেও জনগেণর স্বতঃস্ফুর্ততা প্রমাণ করেছে এই ধর্মঘটে আপামর জনসাধারণ শামিল হয়েছেন৷ শুধু তাই নয়, বিজেপি র দাবিকেও সমর্থন করেছেন রাজ্যবাসী৷ তিনি আরও বলেন, দু-মাসের মধ্যে এই রাজ্যে দুই সাংবাদিকের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যে ঘটেছে তার স্পষ্ট প্রমাণ মিলছে৷ তাছাড়া ইতোপূর্বে বিজেপি র কর্মী সমর্থকদের উপর হামলাও সংঘটিত হয়েছে৷ বহু নেতা প্রাণ হারিয়েছেন৷ কিন্তু বিজেপি বনধ ডাকেনি৷ ধর্মঘটে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দেশের বিশেষ ক্ষতি হয়৷ প্রথমে পুলিশের সামনে সাংবাদিক শান্তুনু ভৌমিক এবং পরে খোদ পুলিশের হাতে পরিকল্পিত সুদীপ দত্তভৌমিকের হত্যাকাণ্ড সমস্ত সীমারেখাকে অতিক্রম করে গেছে৷ এইসব বিষয়ের প্রতিবাদ করার আর কোনও ভাষা নেই৷ তাই রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আজ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল৷ ধর্মঘটে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানে রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে দল৷ আগামী দিনে জনস্বার্থেই দল কাজ করবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রাজ্য সভাপতি৷
রাজ্যের বিশিষ্ট সাংবাদিক সুদীপ দত্ত ভৌমিক হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ভারপতীয় জনতা পার্টির আজকের ডাকা ১২ ঘন্টার ধর্মঘটে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়েছে৷ বিজেপি ধর্মঘট ডাকলেও জনগেনর স্বতঃস্ফুর্ততা প্রমান করেছে এই ধর্মগটে আপামর জনসাধারণ সামিল হয়েছেন৷ শুধু তাই নয় বিজেপিরি দাবীকেও সমর্থন করেছেন রাজ্যবাসী৷
দুমাসের মধ্যে এই রাজ্যে ২ জন সাংবাদিক হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি স্পষ্ট প্রমান মিলছে৷ ইতিপূর্বে বিজেপির কর্মীসমর্থকদের উপর বহু হামলা সংঘটিত হয়েছে৷ বহু নেতা প্রান হারিয়েছেন, অনেকেই এখনো শারীরিক যন্ত্রনায় ভুগছেন, মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা লড়ছেন কিন্তু বিজেপি কখনোই বন্ধ ডাকেনি৷ কারন সিপিএম এর মত বনধের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় বিজেপি৷ কারন ধর্মঘটে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দেশের বিশষ ক্ষতি হয়৷
কিন্তু প্রধমে পুলিশের সামনে সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিক এবং পরে পুলিশের দ্বারা সুদীপ দত্ত ভৌমিকের হত্যাকান্ড সমস্ত সীমা রেখাকে অতিক্রম করে গেছে৷ এইসব বিষয়ের প্রতিবাদ করার আর কোন ভাষা নেই৷ তাই রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে ধীক্কার জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবীতে আজ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে৷
আজকের ধর্মঘটে জনগণ স্বতঃস্ফুর্তবাবে সামিল হয়েছেন৷ রাজ্যের প্রত্যেকটি বিধানসভা কেরেন্দ্র এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে৷ বিজেপির ডাকা এই ধর্মঘটে পরিনত হয়েছে৷ ফলে কোথাও বিজেপি কর্মীদের গ্রেপ্তার হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি৷ রাজ্যের ইতিহাসে ইতিপূর্বে এই জাতীয় ধর্মঘট কখনো লক্ষ্য করা যায়নি৷
তবে শাসক দলের ক্যাডারবাহিনী বিজেপির কর্মীসমর্থকদের উপর বিভিন্ন স্থানে চড়াও হয়েছে৷ ফলে বিভিন্ন এলাকায় বহু বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন৷ সকালেই প্রতাপগড়ে সুমন ঘোষের নেতৃত্বে সিপিআই (এম) রে হার্মাদবাহিনী বিজেপির কর্মীদের উপর হামলা চালায়৷ ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত আক্রমণে আহত হয়েছেন ১৫ জন বিজেপি কর্মী৷ এরে মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ এদের জিবিপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
অন্যদিকে বক্সনগরে পরিকল্পনা মাপিক সিপিআই (এম) এর হার্মাদবাহিনী থানার সামনে ৫০ জন বিজেপি কর্মীকে ঘিরে ফেলে এবং তাদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমন শুরু করে৷ আক্রম কারীদের অধিকাংশই ছিল সীমান্তের ওপার থেকে আসা৷ এখানে পুলিশের ভূমিকা ছিল ন্যাক্কারজনক৷ পুলিশের সামনেই বাংলাদেশের ভাড়াটে গুন্ডাদের দিয়ে ক্যাডারবাহিনীর আক্রমনে ৭ জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন৷ এদের মধ্যে ৩ জনকে গুরুতর অবস্থায় জিবিপি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷
অনুরূপ সংঘর্ষ হয়েছে রাজনগর, কাঞ্চনপুর, ঊনকোটি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঐসব এলাকাতেও সিপিএমের পরিকল্পিত আক্রমনে বহু বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন৷ প্রায় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে৷ তবে এতসরের পরে জনগনের ভাবাবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আজকের ধর্মঘটে৷ জনগনের এই ভূমিকা ভলে যাবার নয়৷ আর একে পাথেয় করে চলবে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷ রাজ্যবাসীর এই ধরনের ভূমিকাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে বিজেপি রাজ্য কমিটি৷
2017-11-24