সাংবাদিক খুন ঃ সিবিআই তদন্ত দাবি অসমের সাংবাদিক সংস্থার

গুয়াহাটি , ২১ নভেম্বর (হিস)৷৷ অসম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইতিমধ্যে সংগঠিত বেশ কয়েকটি সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় সমগ্র সংবাদ জগতে আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে৷ অনুরূপ ঘটনা আজ ফের ত্রিপুরায় ঘটেছে৷ আজ সংঘটিত ঘটনার তীব্র নিন্দা করে খুনিকে উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে অসমে৷ দু মাসের মাথায় আজ ত্রিপুরার আরকে নগরে সাংবাদিক সুদীপ দত্তভৌমিককে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এর জনৈক কমান্ডেন্ট নন্দু রিয়াং শূন্য দুরত্বে গুলি করে খুন করা ঘটনাকে অতিশয় দুঃখজনক বলে বিবেচনা করে এই অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার দিয়েছে ইন্ডিয়ান রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর অসম প্রদেশ সমিতি৷ সমিতির অসম প্রদেশ কমিটির সভাপতি আসরার আনসারি এবং সচিব সংগীতা মেধি বলেছেন, কী পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার প্রথমসারির পত্রিকা স্যান্দন-এর ক্রাইম সাংবাদিক সুদীপ দত্তভৌমিককে গুলি করে মারা হয়েছে তার উপযুক্ত তদন্ত করতে হবে এবং অবশ্যই সিবিআইকে দিয়ে৷ পাশাপাশি ঘটনায় খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেছেন সভাপতি ও সচিব আসরার আনসারি এবং সচিব সংগীতা মেধি৷
ফের সাংবাদিক খুন৷ এবার খোদ ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এর কমান্ডেন্টের গুলিতে নিহত হয়েছেন ত্রিপুরা রাজধানী আগরতলার সাংবাদিক সুদীপ দত্তভৌমিক৷ দু’মাস আগে সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিককে খুন করা হয়েছিল৷ অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনার প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছে অসমের বরাক উপকত্যকার করিমগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাব৷ করিমগঞ্জ প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে সভাপতি মিহির দেবনাথ, কার্যনির্বাহী সভাপতি চন্দনকুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক অরূপ রায় ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন৷ সাংবাদিক হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রামকৃষ্ণনগর প্রেস ক্লাব, পাথারকান্দি কর্মরত সাংবাদিক সংস্থা এবং বদরপুর প্রেসক্লাব৷ করিমগঞ্জ সহ সবকয়টি প্রেস ক্লাবের থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীকে ফাঁসির দাবি তুলেছে৷ পাশাপাশি ত্রিপুরা রাষ্ট্রপতি শাসনেরও দাবি জানানো হয়েছে৷ ত্রিপুরায় উপর্যুপরি সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রেস কাউন্সিলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সব কয়টি প্রেস ক্লাব৷ প্রসঙ্গত আজ আরসি নগরে দ্বিতীয় ত্রিপুরা স্টেট রােিফলস ক্যাম্পে সাংবাদিক সুদীব দত্তভৌমিককে টিএসআর এর এক জওয়ান গুলি করে হত্যা করেছে৷ তাঁর পেটের বাঁদিকে গুলি লেগেছে৷ আততায়ী জওয়ান নন্দু রিয়াংকে অবশ্য গ্রেফতার করা হয়েছে৷ নিহত সাংবাদিক সুদীপ দত্তভৌমিক গত তিন দশক ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ তিনি স্থানীয় দৈনিক সংবাদপত্র ‘স্যন্দন প্রত্রিকা’র সাংবাদিক ছিলেন৷