যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম শতবর্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ নভেম্বর৷৷ প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা গান্ধীর শততম জন্মতীথিতে প্রদেশ কংগ্রেস ভবন প্রাঙ্গনে জাতীয়, দলীয় ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে পরিষদীয় নেতা গোপাল চন্দ্র রায়, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্য্যকারী সভাপতি মহারাজ প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মন, প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি সুশান্ত চক্রবর্তী, এনএসইউআই এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাকেশ দাস, কংগ্রেস সেবাদলের পশ্চিম জেলা মুখ্য সংগঠক মিন্টু দেব প্রমুখ৷ সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বন্দোমাতরম, ধবনি উচচারন ইন্দিরা গান্ধীর স্মৃতিবর্ধক মহূমূর্হ শ্লোগানে ভবন প্রাঙ্গন মুখরিত করার পর ভবন সন্মুখে বেদীতে রক্ষিত ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে কর্মীগন সুশৃঙ্খলভাবে পূষ্পার্ঘ্য অর্পন করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন এবং গান্ধীঘাটে ইন্দিরাজী সহ অন্যান্য জাতীয় নেতাদের স্মৃতি সৌধে পুষ্পাঞ্জলী নিবেদনের মাধ্যমে অন্তরের অন্তস্থল থেকে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন৷ সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের নিকট এক সাক্ষাৎকারে ইন্দিরাজীর স্মৃতিচারন করতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শৈশবে মাতৃহীনা এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে পিতা জওহরলাল নেহেরুর বহুবার কারাবাসে থাকার ফলে নিয়মিত পিতৃস্নেহ থেকেও বঞ্চিত হন প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা৷ এতদসত্বেও উনি ছিলেন মেধাবী ছাত্রী ও মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহ ও অহিংসা মন্ত্রের দিশারী৷ ১৯৭১ খ্রীঃ ১৬ই ডিসেম্বর ভারত-পাক যুদ্ধে পাক সামরিক বাহিনীর প্রধান নিয়াজী সহ ৯৩ হাজার পাক সেনাবাহিনী ভারতীয় ফৌজের নিকট আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ ত্রিপুরার উপজাতিদের আর্থ-সামাজিক ও ভৌগলিক অবস্থানের কথা চিন্তা করিয়া ১৯৮৪ খ্রীঃ ২৩ শে আগষ্ট সংবিধান সংশোধনক্রমে ষষ্ঠ তপশীলের মাধ্যমে ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদ বিল সংসদে প্রনয়ন করে তা বাস্তবায়িত করেন৷ সেই প্রেক্ষাপট তোলে ধরেন তিনি সারা রাজ্যের সঙ্গে বিশালগড় ব্লক কংগ্রেস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে ইন্দিরা গান্ধীর জন্মশতবর্ষ৷ পি সি সি সম্পাদক জয়দুল হুসেন কর্মীদের প্রিয়দর্শীনির ভাবাদর্শ পাথেয় করে কর্মীদের চলার পরামর্শ দিয়েছেন৷