মেয়ে পাচারকারী মহিলাকে ছেড়ে দিল পুলিশ, তীব্র ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ নভেম্বর৷৷  মেয়ে পাচারকারী সন্দেহে দিল্লিত বিবাহ সূত্রে বসবাসকারী এক মহিলাকে আটক করেও ছেড়ে দেয় কৈলাসহর মহিলা থানার পুলিশ৷ এ নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ জানা গেছে, সন্দেহভাজন এই ২৮ বর্ষীয়া মহিলার বাড়ি ধর্মনগরের হাফলং চা বাগান এলাকায়৷ দিল্লিতে মহিলার এক বোনের বিয়ে হয়৷ সে সূত্রে এই মহিলা দিল্লিতে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেলে দিল্লির পালাম থানা এলাকার এক যুবকের সাথে তার পরিচয় হয়৷ পরিচয়ের সূত্র ধরে পরবর্তীকালে তাদের বিয়ে হয়৷ মহিলা বিয়ের পর দিল্লি চলে যায়৷ এদিকে, বছর খানেক আগে সংগীতা বাড়ি আসে এবং কৈলাসহরের সরোজিনী চা বাগানের হরি মোহন কর্মকারের ষোড়শী মেয়ে শান্তা কর্মকারকে দিল্লিতে কাজের সংস্থান করে দেবে কথা দিয়ে শান্তার মা বাবাকে লোভ দেখিয়ে দিল্লি নিয়ে যায়৷ কিছু দিন মেয়ের সাথে কৈলাসহরে মেয়েটির মা মিনা কর্মকার, বাবা হরি মোহনের সাথে কথাবার্তা হয়৷ কিন্তু বিগত ৭-৮ মাস যাবত যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়৷ এই অবস্থায় দিল্লির পালাম থানা থেকে তাদের জানানো হয় শান্তা কর্মকারের জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয়ে দিল্লির দীন দয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে  মারা গেছে৷ এ সংবাদ পাওয়া মাত্র শান্তার মা ও বাবা ওই মহিলার ধর্মনগর স্থিত বাড়িতে যান সেখানে গিয়ে মহিলাকেও পেয়ে যান তারা৷ তারপর তারা প্রায় জোর করেই মহিলাকে কৈলাসহর মহিলা থানায় নিয়ে আসে৷ সেখানে মহিলা জানায় শান্তাকে মাসিক ৭ হাজার টাকা বেতন দেবে বলে কথা দিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল৷ যাবার কালে ৪ হাজার টাকা মা ও বাবার হাতে দেওয়া হয়েছিল৷ থানায় সংগীতার বিরুদ্ধে আর কয়েকজন অভিযোগ করে৷ এই মহিলা এলাকায় আরও মেয়েদের দিল্লি নিয়ে যেতে আরও কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করে৷ এদিকে শান্তার মৃত্যুর ঘটনায় মহিলার স্বামী শর্মাকেও আটক করেছে পালাম থানা পুলিশ৷ কিন্তু মহিলা থানা ঘটনাটিকে হাল্কা ভাবে নিচ্ছে বলে এলাকা বাসির অভিযোগ৷