কাল রাজ্যব্যাপী ‘কালা দিবস’ পালনের ডাক মমতার

কলকাতা, ৭ নভেম্বর (হি. স.): কাল ৫০০ ও ১০০০–এর নোট বাতিলের বর্ষপূর্তি। কেটে গেল ১ বছর। কোনও প্রতিশ্রুতি পালন করা হল না। তাই দেশজুড়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ইতিমধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইটের ডিপি কালো করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ফেসবুকে পোস্টে তিনি বলেছেন, ৮ নভেম্বর ‘কালা দিবস’ পালিত হবে। নোট বাতিল বড় কেলেঙ্কারি। তদন্ত হলে প্রমাণিত হবে। কালো টাকা উদ্ধারের জন্য নোটবন্দি নয়। কালো টাকাকে সাদা করতেই নোটবন্দি। ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থেই এই কাজ। নোটবন্দির ফলে বিদেশ থেকে টাকা উদ্ধার হয়নি। বাস্তবে নোটবন্দির ফল বিগ-বিগ জিরো। নোটবন্দির ফলে ক্ষতি হয়েছে জিডিপির। জিডিপির ক্ষতি প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা। বিশেষত অসংগঠিত ক্ষেত্রে ছাঁটাই।কোটি কোটি মানুষের কাজ গেছে। অনাহারের শিকার কৃষকরা। নোটবন্দির ফলে মারা গেছে শতাধিক মানুষ। প্রথম দিন থেকেই বিরোধিতা করেছি। ৭৫ হাজার শিল্পপতি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।কালা দিবসের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। বুধবার দুটো থেকে তিনটে পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে সব এলাকায় মিটিং–মিছিল হবে। কলকাতায় থাকবেন পার্থ চ্যাটার্জি, শোভন চ্যাটার্জি, শোভনদেব চ্যাটার্জি, অরূপ বিশ্বাস, মদন মিত্র–সহ সব নেতা। কে কোথায় থাকবেন, তাও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে। ধর্মতলা, শিয়ালদা, শ্যামবাজার, হাজরা, বেহালা, বেলেঘাটা–সহ সর্বত্র তৃণমূলের কর্মীরা প্রতিবাদে নামছেন। হোর্ডিং, ব্যানার তৈরি হয়ে গেছে। হোর্ডিংয়ে লেখা হয়েছে:‌ খামখেয়ালি মোদীর নোটবন্দীর বর্ষপূর্তিতে কালা দিবস পালন করুন। লেখা হয়েছে, ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে মোবাইল ফোনে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক কেন? স্বৈরাচারী নরেন্দ্র মোদী জবাব দাও | ‌নোট বাতিল ও জিএসটি–র নামে দুর্নীতি হল কেন? সিবিআই, ইডি, আইটি বিজেপি–র এজেন্সিতে পরিণত হল কেন?কেন্দ্রীয় সরকার এর জবাব দাও| ‌নোট–বাতিল বিজেপি–র দুর্নীতির স্বর্গ কেন? মোদী সরকার জবাব দাও। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে অসুবিধেয় ফেলে যেন মিছিল না হয়। সতর্ক থাকতে হবে। কোনও প্ররোচনায় পা দেওয়া চলবে না। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় নেতা ও কর্মীরা পথসভা করেছেন। তাঁরা বিজেপি–র বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন। টুইটারে মমতা গতকালই বলেছেন, নোটবন্দীর ফলে ভারতের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। সাধারণ মানুষের বিপদ বেড়েছে। হয়রানি বাড়ছে। জিএসটি নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘গ্রেট সেলফিশ ট্যাক্স’। কেন্দ্র চাইছে সাধারণ মানুষকে কর্মচ্যুত করতে।