২০০১ থেকে দূরশিক্ষার সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সকে বেআইনী ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ নভেম্বর৷৷ গত ষোল বছরে ডিমড ইউনিভার্সিটিগুলি থেকে করেসপন্ডেন্স কোর্সে করা সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স বেআইনী বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট৷ ফলে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীও ঐ সার্টিফিকেটের মাধ্যমে চাকুরি পাওয়া হাজারো তরুন তরুণী চরম বিপাকে পড়লেন৷ বিচারপতি এ কে গোয়েল ও ইউইউ ললিতের বেঞ্চ বলেছে ইউনিভার্সিটি গ্রান্ড কমিশন বা ইজিসি ও অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফল টেকনিক্যাল এডুকেশন বা এআইসিটিই দূরশিক্ষার মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয় না৷ ডিসট্যান্স এডুকেশন বা ডিসিই এই কোর্সগুলিকে যে স্বীকৃতি দিয়েছে তা আইনসিদ্ধ নয়৷
দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে বলেছে, ডিমড ইউনিভার্সিটিগুলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি তত্ত্বাবধান প্রক্রিয়া তৈরী করতে৷ কারণ ইউজিসি শিক্ষার বাণিজ্যিকিকরণ রুখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে তারা৷ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই ডিমড ইউনিভার্সিটি তকমা খতিয়ে দেখার জন্যও তারা কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে৷
২০০১ এ এআইসিটিই দূরশিক্ষার মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স নাকচ করে দেওয়ার পরও এভাবেই ডিপ্লোমা দিচ্ছিল জেআরএন রাজস্থান বিদ্যাপীঠ, রাজস্থানেরই ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্স স্টাডিজ ইন এডুকেশন, এলাহাবাদ এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট ও তামিলনাড়ুর বিনায়ক মিশনস রিসার্চ ফাউন্ডেশন৷ এদের কোর্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়ে৷ সর্বোচ্চ আদালত সমস্ত ডিমড ইউনিভার্সিটিকে এআইসিটিইর অনুমোদন ছাড়া করেসপন্ডেন্স কোর্স চালাতে নিষেধ করেছে৷ যে সব সরকারি আধিকারিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ২০০১ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কোর্স চালানোর অনুমতি দিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
তবে যেসব পড়ুয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ২০০১-২০০৫ এর মধ্যে ভর্তি নিয়েছিলেন, তাদের জন্য সামান্য স্বস্তির ব্যবস্থা করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ এআইসিটিইর আওতায় নতুন করে একটি পরীক্ষায় বসে তাতে পাশ করলে ডিপ্লোমা ফেরত পাবেন তারা৷ পরীক্ষা পাশ করার দুটি সুযোগ তারা পাবেন৷ কিন্তু, আদালত জানিয়ে দিয়েছে ২০০৫ এর পর যারা এই কোর্স করেন, তারা এই কোর্সের অনুমোদন নেই তা জেনেই ভর্তি হন৷ তাই তাদের সার্টিফিকেটি বাতিল বলে গণ্য করা হবে৷