গুয়াহাটি, ৪ নভেম্বর, (হি.স.) : জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) খসড়া তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে একাংশ চক্র যেমন রাজ্যে বিভ্রান্তি এবং আতংকের সৃষ্টি করছে, ঠিক তেমনই নাগালিমকে (বৃহত্তর নাগা রাজ্য) নিয়ে উত্তেজনা, বিষবাষ্প ছড়ানোর এক অশুভ বাতাবরণ রচনা করা হয়েছে অসমে। নাগালিমের ‘ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট’ এখনও প্রকাশই হয়নি। এমতাবস্থায় এই চুক্তিকে কেন্দ্র করে বিগত কিছুদিন ধরে রাজ্যে এক অনাকাঙ্ক্ষিত বিভ্রান্তি ও বিতর্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে তাঁর এক বক্তব্যকে পরিকল্পিতভাবে বিকৃত করে একাংশ সংবাদ মাধ্যমে যে খবর ছড়ানো হচ্ছে তা তীব্র ভাষায় খণ্ডন করেছেন বিজেপি-র প্রদেশ সভাপতি রঞ্জিতকুমার দাস। এক টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে প্রদেশ সভাপতি বলেন, নাগাল্যান্ডের সীমান্তবর্তী অসমের কয়েকটি গ্রামে এনএসসিএন-এর জঙ্গিরা তোলা আদায় করছে, হুমকি সর্বস্ব বার্তা পাঠাচ্ছে, গ্রামগুলিতে ঢুকে গৃহস্থদের গৃহপালিত জীবজন্তু কেড়ে নিচ্ছে বলে খবরে যথেষ্ট সত্যতা রয়েছে। নাগা আগ্রাসনের তথ্য জানতে রাজ্য পুলিশের বিশেষ শাখার এডিজিপি পল্লব ভট্টাচার্য প্রভাবিত সেই সব অঞ্চলে গিয়েছেন। সরকারের তরফে এ ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তোলা আদায়জনিত নিপীড়নের সঙ্গে নাগালিমের ‘ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট’-এর কোনও সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন না তিনি। কেননা ঘটনাটি আজ নতুন নয়, বহু পুরনো। তাই হঠাৎ করে এমন হচ্ছে তা কিন্তু মোটেও নয়।
রঞ্জিতকুমার দাস বলেন, অসমের ভূমি নাগাল্যান্ডের দখলে চলে যাওয়ার বিষয়টি দেশের সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। বিষয়টি যেহেতু আদালতে বিচারাধীন, তাই রাজ্যের ভূখণ্ড কার দখলে যাবে অসমের না-নাগাল্যান্ডের তা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই স্পষ্ট হবে। এমতাবস্থায় ওই সব বিতর্কিত ভূখণ্ড কোনও অবস্থায়ই নাগাল্যান্ড তাদের বলে দাবি করতে পারে না। এক কথায়, বিবদমান এলাকাকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সরকারের নেই। এই কথাটিই তিনি সেদিন বলেছিলেন, জানান বিজেপি-র প্রদেশ সভাপতি রঞ্জিতকুমার দাস।
দাস বলেন, নাগালিমকে নিয়ে অসমের জনসাধারণের শঙ্কিত হওয়ার কোনও অবকাশ নেই। বিষয়টি ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও স্পষ্ট করে দিয়ে ও ব্যাপারে অসমের মানুষকে আতংকিত বা শঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, জানান প্রদেশ সভাপতি।
2017-11-04