নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ অক্টোবর৷৷ অবৈধ প্রেমের জেরে ২০১১ সালে খুন হতে হয়েছিল বাসন্তী ঘোষ নামে এক গৃহবধূকে৷ এই খুনের অভিযোগে গকুলনগরের বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষ ওরফে নিঙ্কা এবং পশ্চিম প্রতাপগড়ের সুচিত্রা সাহাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দিল পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ গৌতম সরকার৷ উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১১ সালের ২ আগস্ট সূর্যমণিনগর রামকৃষ্ণ পল্লির নারায়ণ রায়ের বাড়িতে বাড়ি ভারা নিয়ে থাকতে যান ২ আসামী সহ গৃহবধূ বাসন্তী ঘোষ৷ আগামী অভিজিৎ দত্ত নিজেকে বাসন্তীর স্বামী ও সুচিত্রাকে নিকটাত্মীয় বলে পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল৷ পর দিন অর্থাৎ ৩ আগস্ট সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভাড়া ঘর থেকে কোন প্রকার শব্দ না আসার ফলে বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয়৷ সন্দেহের বসে বাড়ির মালিক তাদের ঘরের সামনে গিয়ে অনেক ডাকাডাকি করে৷ তারপরও কোন উত্তর না পাওয়ায় দরজায় ফাঁক দিয়ে ঘরে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখতে পান৷ সাথে সাথে বাড়ির মালিক পুলিশকে খবর দেন৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিছানায় বাসন্তীর মৃতদেহ দেখতে পায়৷ তদন্তে নেমে পুলিশ মৃতার ভাই কৃষ্ণ ঘোষের খোঁজ পায়৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে বাসন্তী পরকীয়া প্রেমের জেরে নিজের স্বামী ও সংসার ছেরে অভিজিতের সঙ্গে পালিয়ে এসেছিল৷ এরপরই পুদ্ভ্রিলশ অভিজিৎকে জালে তুলে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানতে পারে সুচিত্রার মাঝে বাসন্তী কাটা হয়ে উঠেছিল৷ এই খুনে সুচিত্রাও সম ভাবে দোষী বলে প্রসিকিউশন তার পেশ করা সাক্ষ্য বাক্যের মধ্য দিয়ে আদালতে প্রমাণ করে দেন৷ ২০১৭ সাল থেকে শুরু এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষে বিচারক অভিজিৎ দত্ত ও সুচিত্রা সাহাকে আইপিসি’র ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে৷ আদালত তাদেরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন৷
2017-10-29