মুঙ্গিয়াকামীতে পাহাড় বসে গিয়েছে, ভীড় কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের, চলছে পূজার্চনা, হেলদোল নেই প্রশাসনের

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৭ অক্টোবর৷৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীন কাকরাছড়া এডিসি ভিলেজের হাজরা পাড়ার পাহাড় বসে যাওয়ায় আতঙ্কে প্রহর গুনছেন গিরিবাসীরা৷ যেকোন সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটে যেতে পারে৷ নিজেদের জীবন বাঁচাতে পূজা বন্দনায় মেতে উঠেছে এলাকাবাসী৷ এযেন এক আজব ঘটনা৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে ব্যবসাও৷ ঘটনাকে প্রত্যক্ষ করতে শুধু তেলিয়ামুড়া নয় অন্যান্য স্থান থেকেও ভীড় জমাচ্ছে লোকজনরা৷ তবে দেখা নেই মহকুমা প্রশাসনের কর্মকর্তা কিংবা ভূতত্ববিদদের৷
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত তিনদিন ধরে হাজরা পাড়ার এক বিশালাকার পাহাড় বিকট শব্দে ভূগর্ভে চলে যায়৷ সঠিক কি হয়েছিল, এলাকার লোক কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই একটি পাহাড় দুভাগে ভাগ হয়ে যায়৷ তলিয়ে যায় নীচের দিকে৷ এক কথায় ঐ এলাকা পরিদর্শন না করলে বোঝা যাবে না সঠিক কত পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে৷ পার্শ্ববর্তী প্রায় কুড়ি পরিবারের যাতায়াতের মূল রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ আতঙ্কে পার্শ্ববর্তী পরিবারগুলি এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আজ চারদিনের মাথায় নতুন করে আবার পাহাড়ের অনেক জায়গা নীচের দিকে নামতে থাকে৷ তা দেখতে হাজার হাজার লোক সেখানে ভীড় করেন৷
এদিকে, সাধু সন্তদেরও অভাব নেই এলাকায়৷ তারা কোন এক দৈবিক কারণে এরকম হয়েছে বলে দাবি করে ঘটনাস্থলে পূজার্চনা শুরু করে দেয়৷ সহজ সরল জনগণ্য ধূপকাঠি, মোমবাতি ও দক্ষিণা দিয়ে মা বনমাতার পূজাকে স্বাগত জানাচ্ছে৷ তবে কি কারণে হঠাৎ করে এই ভাবে বিশালাকার পাহাড় বসে গেল তা একমাত্র ভূতত্ববিদরাই পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক ভাবে বলতে পারবেন৷ তবে ঘটনার চারদিন অতিক্রান্ত হতে চলেছে এলাকায় সফর করতে দেখা যায়নি প্রশাসনের কোন আধিকারীককে৷ কারো কারো মতে এমনও হতে পারে তা ভূকম্পণের পূর্বাভাস৷ নয়তো কোন প্রাকৃতিক বিপর্য্যয়ের পূর্বাভাস৷ তবে যেভাবে এখানে লোক সমাগম হচ্ছে আর প্রতিনিয়ত পাহাড় তলিয়ে যাচ্ছে, প্রশাসন যদি কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করে তাহলে যেকোন সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটে যেতে পারে৷