নয়াদিল্লি, ২৫ অক্টোবর (হি.স.) : প্রাক্তন আইবি প্রধান দীনেশ্বর শর্মাকে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ করে আলোচনার মাধ্যমে সব পক্ষের সঙ্গে মধ্যস্থতার জন্যে কাশ্মীর পাঠানো হচ্ছে। তবে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগে উপত্যকায় সেনা কার্যকলাপে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রে মোদী সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, কাশ্মীর-সমস্যা সমাধানে সেখানকার সমস্ত দল, সর্বস্তরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তাঁরা। উপত্যকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা এখনই প্রয়োজন বলে মত কেন্দ্রের।এরপর রাওয়াত দাবি করেন, কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। অনুপ্রবেশের পরিমাণও কমেছে। কাশ্মীরের বিষয়ে কেন্দ্র যে নীতি নিয়েছে, সেটা সফল বলে দাবি সেনাপ্রধানের।
সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত উরির ধরনের সন্ত্রাসবাদী হানা নিয়ে সতর্ক করলেন। বুধবার সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেন, উরির ধরনের সন্ত্রাসবাদী হানা রুখতে সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা নিয়ে তাঁর বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান।
এদিন সেনাপ্রধান বলেছেন, উরির সন্ত্রাস হানা নিয়ে আমরা বিশদ তথ্য সংগ্রহ করেছি। সেনাবাহিনীকে দ্রুত আরও সময়োপযোগী করে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর ব্যাপারে বলেন সেনাপ্রধান। এ ব্যাপারে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেন, পশ্চিম ও উত্তরের সীমান্ত এলাকাগুলিতে নজরদারি ব্যবস্থা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এজন্য ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেছেন, ভারতের সীমান্ত এলাকায় ওত পেতে রয়েছে যে সন্ত্রাসবাদীরা তাদের উদ্দেশে বার্তা দিতে চাই, প্রয়োজনে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হবে। সীমান্তের ওপারে যদি সন্ত্রাসবাদীরা ভারতে হানা দেওয়ার জন্যে মুখিয়ে থাকে, তাহলে ভারতের সেনাবাহিনীও সীমান্তের অপরপ্রান্তে প্রস্তুত আছে। প্রয়োজনে ভারতীয় সেনা ওই সন্ত্রাসবাদীদের কবর দেবে। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর চার জঙ্গি উরির একটি সেনাশিবিরে হামলা চালায়। তাতে মারা গিয়েছিলেন মোট ১৯জন সেনা। এরপরে ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বরের রাতে ভারতীয় সেনা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে।