নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ অক্টোবর৷৷ মোহনভোগ ব্লকের পূর্ব চন্ডীগড়ে গার্হস্থ্য হিংসা প্রতিরোধে এক সচেতনতা সভা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়৷ ত্রিপুরা মহিলা কমিশন ও ত্রিপুরা দুঃসাহসিক সামাজিক সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মনিকা দত্ত রায়৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেলাঘর থানার পুলিশ আধিকারিক মনীন্দ্র দেবনাথ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার সভাপতি বিজয় দাস, সহসভাপতি রূপক শর্মা সহ বিশিষ্ট জনেরা৷
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে কমিশনের চেয়ারপার্সন মনিকা দত্ত রায় বলেন, মহিলারা নানা ভাবে গার্হস্থ্য হিংসা সহ বিভিন্ন হিংসার শিকার হচেছন৷ তাদের সম্মান রক্ষায় যুবক সহ সমাজের সকল অংশের মানুষকে ইতিবাচক ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের অনেক মানুষকে আমাদের রাজ্যে নারী নির্যাতন কম৷ পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী আমাদের রাজ্যে নারীদের পইরত অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে৷ ২০১৪ সালে ঘটনার সংখ্যা ছিল ১৫৩১টি, ২০১৫ সালে হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ১২২১ টিতে, ২০১৬ সালে আরও কমে দাঁড়ায় ৯৭৭ টিতে৷ এটা ভাল দিক হলেও আমরা সন্তুষ্ট নই৷ আমরা চাই ত্রিপুরার মত শান্তিপূর্ণ রাজ্যে নারীর উপর একটি অপরাধও যাতে সংঘটিত না হয়৷ তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যেও নারীরা নানা ভাবে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হচ্ছেন৷ তার অন্যতম একটি কারণ হল পণ প্রথা৷ ১৯৬১ সালে পণ বিরোধী আইন হলেও পণের জন্য চোরা স্রোত বইছে৷ পণের দাবী মেটাতে অক্ষম হওয়ার কারণে কত নববধূর জীবন অকালে ঝরে যাচ্ছে৷ শতাব্দী এগোচ্ছে, সভ্যতা এগোচ্ছে কিন্তু যুগ ধরে প্রচলিত জঘন্য পণ প্রথা রোধ করা যাচ্ছে না৷ পণের কোন নির্দিষ্ট অংক বা পরিসীমা নেই বলে শুধু বিয়ের সময় নয়, বিয়ের পরেও বারবার পণের দাবী আসতে থাকে৷ পণ নেব না, পন দেব না, এই শ্লোগানকে বাস্তবায়িত করতে বিশেষ করে যুব সমাজকে এবং যুবতীদেরও দায়িত্ব নিতে হবে৷ আলোচনায় অংশ নিয়ে পুলিশ আধিকারিক মনীন্দ্র দেবনাথ মহিলাদের সুরক্ষায় বিভিন্ন আইন নিয়ে আলোচনা করেন৷ সংস্থার সহ সভাপতি রূপক শর্মা, কাঁঠালিয়া বিবাদী সংস্থার সম্পাদক সত্যজিৎ নাথ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সকল অংশের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান৷ স্বাগত ভাষণ রাখেন সংশ্লিষ্ট সামাজিক সংস্থার সম্পাদক লিটন শীল৷
2017-10-24