মুখ্যমন্ত্রী সকাশে পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের সিএও, রাজধানী এক্সপ্রেস ছুটতে পারে নভেম্বরে, গর্জি ও বিলোনীয়ায় একসাথে রেল চালানোর উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ অক্টোবর৷৷ অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আগরতলা থেকে দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সফর সম্ভব

সোমবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পুর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের সিএও এ কে যাদব৷ ছবিঃ নিজস্ব৷

হবে বলে জানালেন পূর্বত্তোর সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য প্রশাসনিক আধিকারিক এ কে যাদব৷ দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও, অক্টোবরের শেষে কিংবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাজধানী এক্সপ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷ এবিষয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সাথে মহাকরণে দেখা করেন তিনি৷ পরবর্তী সময়ে তিনি রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মানিক দে-র সঙ্গেও দেখা করেন৷
এদিন, শ্রী যাদব সাংবাদিকদের জানান, অক্টোবর মাসের শেষ দিকে রাজধানী এক্সপ্রেস চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ তবে, তা কয়েকদিন পিছিয়ে যেতে পারে৷ অবশ্য, পিছিয়ে গেলেও নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই রাজধানী এক্সপ্রেস চালু করা আপ্রাণ চেষ্টা চলছে৷ তিনি জানান, গুয়াহাটির পর কিছু স্থানে রেল লাইনের খুঁটিনাটি বিষয় এখনও পরীক্ষানিরিক্ষার বাকি রয়েছে৷ সম্প্রতি বন্যায় রেললাইনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ তাই, রাজধানী এক্সপ্রেস চালানোর জন্য সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তাতে কিছুটা সময় অতিরিক্ত নিচ্ছে৷ তবে, শীঘ্রই এই সমস্ত কাজ সমাপ্ত হবে বলে শ্রী যাদব আশা প্রকাশ করেছেন৷ কিন্তু নির্দিষ্ট দিন তারিখ এখনো ঠিক হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন৷ তাঁর বক্তব্য, এই বিষয়টি রেলওয়ে বোর্ডের আলোচনা স্তরে রয়েছে৷
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কিংবা বুধবার রাজধানী এক্সপ্রেস চালানো বিষয়ে মালিগাওয়ে পূর্র্বেত্তর সীমান্ত রেলওয়ে শীর্ষ আধিকারিক এবং রেল বোর্ডের সদস্যরা বৈঠক করবেন৷ মূলত, বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হবে৷ সূত্রের দাবি, আগামী ২৮ অক্টোবর আগরতলা থেকে দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সূচনা হতে পারে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে রাজধানী এক্সপ্রেসকে সবুজ পতাকা দেখাবেন৷ তবে, অন্য আরেকটি সূত্রের এও দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি৷ নির্দিষ্ট ঐ দিনে প্রধানমন্ত্রী রাজধানী এক্সপ্রেসের সূচনা করতে পারবেন কিনা তাও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে চূড়ান্ত করা হয়নি৷ তবে, পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে সমস্ত রকম প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে৷
শ্রী যাদব আরও জানান, এবার রাজ্যে অতিবৃষ্টির জন্য সাব্রুম পর্যন্ত রেলপথের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে৷ এখন বর্ষা শেষ৷ ফলে সাব্রুম পর্যন্ত রেলপথের কাজ দ্রুতগতিতে শুরু করা যাবে৷ তিনি বলেন, বিলোনিয়া পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারনে দ্রুততার সাথে কাজ করা হবে৷ কারণ, উদয়পুর থেকে গর্জি এবং বিলোনিয়া একই সাথে রেল চলাচল শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ ইতি মধ্যে গর্জি পর্যন্ত রেললাইনের সুরক্ষা পর্যবেক্ষণও হয়ে গেছে৷ সেইটি কমিশনারের ছাড়পত্রও মিলেছে৷ কিন্তু, রেলওয়ে বোর্ড চাইছে গর্জি এবং বিলোনিয়া পর্যন্ত রেল চলাচল একই সাথে শুরু হোক৷
এদিন তিনি আরও জানান, আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্পের কাজও জোরকদমে চলছে৷ ভারতের অংশে জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ৷ টাকা দেওয়া হয়ে গেছে৷ বাংলাদেশের দিকের প্রাথমিক পর্বের কাজের অগ্রগতিও ভালো বলে তিনি জানিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *