নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ অক্টোবর৷৷ স্বচ্ছতা নিয়ে রাজ্য তথ্য কমিশনের ভূমিকায় প্রশ্ণ উঠেছে৷ কারণ, স্বচ্ছতার প্রশ্ণে তথ্য কমিশন বিরাট ভূমিকা পালন করে থাকে৷ কিন্তু, গত দুই অর্থবছরে রাজ্য তথ্য কমিশন কোন রিপোর্ট প্রকাশ করেনি৷ ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রাজ্য তথ্য কমিশন অন্তিম রিপোর্ট প্রকাশ করেছে৷ এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ এবং ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বার্ষিক রিপোর্ট কমিশন প্রকাশ করতে পারেনি৷ কমিশনের জনৈক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের রিপোর্ট তৈরি হলেও তা এখনো রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা হয়নি৷ তাই, প্রথা অনুযায়ী সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছেনা৷ এদিকে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বার্ষিক রিপোর্ট কমিশন এখনো তৈরি করতে পারেনি৷ ফলে, গত দুই অর্থবছর ধরে তথ্য জানার অধিকার আইনে যে রিপোর্ট প্রকাশ করতে হয় তাতে গাফিলতি করেছে কমিশন৷
নিয়ম অনুযায়ী, তথ্য জানার অধিকার আইনে কাউকে যে তথ্য দেওয়া হয় তার প্রতিলিপি স্ক্যান করে রাখতে হয়৷ বার্ষিক রিপোর্ট তৈরি করার সময় ঐ সমস্ত স্ক্যান করা রিপোর্টের প্রতিলিপি একত্রিত করা হয়৷ তারপর, সেই রিপোর্ট রাজ্য বিধানসভায় অথবা সংসদে পেশ করা হয়৷ তথ্য জানার অধিকার আইনের ধারা ২৫১ মোতাবেক এই নির্দেশ পালন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক৷ জানা গেছে, ত্রিপুরা সহ দেশের মোট ১৬ টি রাজ্য এই আইন সঠিক ভাবে রূপায়ন করছে না৷ গত দুই অর্থবছর ধরে ১৬টি রাজ্যই বার্ষিক রিপোর্ট হয় তৈরি করেনি, নয়তোবা তৈরি করার পর রাজ্য বিধানসভায় তা পেশ করেনি৷ সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া সংস্থাটি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে তথ্য জানার অধিকার আইন রূপায়নে রাজ্যগুলির অবস্থা নিয়ে এই দাবি করেছে৷
স্বচ্ছতার প্রশ্ণে দেশে লাগু হয়েছিল তথ্য জানার অধিকার আইন (আরটিআই অ্যাক্ট)৷ সে মোতাবেক প্রতিবছর তথ্য কমিশনের রিপোর্ট তৈরি করা বাধ্যতামূলক৷ এবিষয়ে রাজ্য তথ্য কমিশনের জনৈক আধিকারিক জানিয়েছেন, তথ্য জানার অধিকার আইন রূপায়নে কয়েকটি দফতরে গাফিলতি হচ্ছে৷ কারণ, সমস্ত দফতরে স্থায়ী আরটিআই অফিসার নিযুক্ত নেই৷ বিশেষ কোন আধিকারিককে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে আরটিআই আধিকারিক হিসাবে৷ ফলে, সময়মত সফলভাবে এই আইন রূপায়নে ঘাটতি হচ্ছে৷
2017-10-21